১৭ বছর পর ডিএনএ পরীক্ষায় মিলল পিতৃপরিচয়
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৬:৪৪ | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৬:৪৫
বগুড়া: ১৭ বছর পর ডিএনএ পরীক্ষায় মিলল ধর্ষণে জন্ম নেওয়া মাহমুদার পিতৃপরিচয়। বগুড়ার ধুনট উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের জয়শিং গ্রামের গমির উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে মাহফুজার রহমান বর্তমান যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিই মাহমুদার জন্মদাতা পিতা। হাইকোর্টের নির্দেশে ডিএনএ পরীক্ষার পর মাহমুদার জন্মদাতা শনাক্ত হয়।
ধুনট উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের জয়শিং গ্রামের মৃত গোলাম হোসেনের কন্যা মিলনা খাতুন নদীভাঙনে বাস্তুভিটা হারিয়ে একই এলাকার সোনাহাটা বাজার এলাকায় সরকারি রাস্তার পাশে ঝুপড়ি ঘর তুলে মায়ের সঙ্গে বসবাস করছিল। এ অবস্থায় ২০০১ সালে জয়শিং গ্রামের গমির উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে মাহফুজার রহমান ঝুপড়ি ঘরে ঢুকে মিলনাকে ধর্ষণ করেন। এতে মিলনা খাতুন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
এ ঘটনায় মিলনা খাতুন বাদী হয়ে মাহফুজারের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। সে সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহফুজার রহমানের বিরুদ্ধে বগুড়া আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলাটি বিচারাধীন থাকাবস্থায় মিলনার গর্ভে জন্ম নেয় এক কন্যা সন্তান। তার নাম মাহমুদা খাতুন। বর্তমানে মাহমুদার বয়স ১৭ বছর। এদিকে ধর্ষণ মামলায় প্রায় ছয় বছর আগে মাহফুজার রহমানের যাবজ্জীবন সাজার আদেশ হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত মাহফুজার রহমান বর্তমানে বগুড়া জেলা কারাগারে রয়েছেন। এ অবস্থায় মাহফুজার রহমান সন্তানের দায় এড়াতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেন।
আদালতের আদেশে ৩০ জুন ঢাকা সিআইডির সদর দফতরে দীপঙ্কর দত্ত নামে এক পরীক্ষক আসামি মাহফুজার রহমান, মামলার বাদী মিলনা ও তার মেয়ে মাহমুদার ডিএনএ পরীক্ষা করে। ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণ মেলে মাহফুজার রহমানই মাহমুদার বাবা।
গত ৬ আগস্ট দীপঙ্কর দত্ত স্বাক্ষরিত ডিএনএ পরীক্ষার প্রত্যয়নপত্র ঢাকা সিআইডির সদর দফতর থেকে বৃহস্পতিবার ধুনট থানায় পৌঁছানো হয়।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘ঢাকা সিআইডির সদর দফতর থেকে পাওয়া ডিএনএ পরীক্ষার প্রত্যয়নপত্রের বিষয়টি মাহফুজার, মিলনা ও মাহমুদাকে জানানো হয়েছে। এখন বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে ফয়সালা হবে।’