‘ভূমি বিরোধ মীমাংসার কাজ শুরু অচিরেই’
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:৪৮ | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৪৪
রাঙ্গামাটি: অচিরেই বিরোধপূর্ণ ভূমির মিমাংসার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) মো. আনোয়ার উল হক।
তিনি বলেন, ‘আইনগত বিধিমালাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। বিধিমালা পাস হলেই আমরা শুনানির জন্য প্রস্তুতি নেব। এরপরই ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কাজ শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের পঞ্চম বৈঠকে শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। রাঙ্গামাটি সার্কিট হাউজের হলরুমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ১০ অক্টোবর পরবর্তী বৈঠকের দিন ঠিক করা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার উল হক বলেন, ‘যতদিন কমিশন থাকবে ততদিন বিরোধপূর্ণ ভূমির দরখাস্ত চলমান থাকবে। স্থায়ী লোক নিয়োগে আইনগত কিছু ব্যাপার আছে। সাময়িকভাবে কাজ এগিয়ে নিতে সরকার অবশ্যই আমাদের সহায়তা করবে এবং নিষ্পত্তির কাজ শুরু হলে সরকার জনবল দিয়ে সহায়তা করবে।’
রাঙ্গামাটি চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, ‘হয়তো সবার আশা-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী বিধিমালা নাও হতে পারে। কিন্তু আইনের যে বিধান রয়েছে, যদি তার সম্পূরক কিছু সাহায্য পাই তাহলে কয়েক মাসের মধ্যে শুনানির পর্যায়ে যেতে পারব। আমরা যারা সদস্য আছি, যতদ্রুত পারি শুনানির পর্যায়ে যাব এবং নিরপেক্ষভাবে কাজ শুরু করব। তবে আঞ্চলিক পরিষদ থেকে যেসব প্রস্তাব সরকারের কাছে গেছে এবং আরও যেতে পারে সেগুলো যেন তারা গুরুত্ব দিয়ে বিধিমালা করে।’
বান্দরবান বোমাং সার্কেল চিফ উ চ প্রু চৌধুরী বলেন, ‘আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি বিধিমালা হয়ে যাবে। তারপর কাজ শুরু করব। কাজ শুরু হলে শেষ করতে বেশি সময় লাগবে না।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার উল হকের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ প্রতিনিধি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য গৌতম চাকমা, খাগড়াছড়ি মং সার্কেল চিফ সাচিং প্রু চৌধুরী, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী ও ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন সচিব আলী মনসুর প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ভূমি কমিশন বিরোধপূর্ণ ভূমির আবেদন আহ্বান করলে দুই দফায় পার্বত্য তিন জেলা (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) থেকে ৩ হাজার ৯৩৩টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে খাগড়াছড়ি জেলায় ২ হাজার ৮৩৯টি, রাঙ্গামাটি জেলায় ৭৬৯টি, বান্দরবান জেলায় ৩২৫টি।