ছেলের অভাব পূরণ করতে লাখ টাকায় শিশু কিনে ধরা
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:৩৭ | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:৪৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে ছেলেসন্তানের অভাব পূরণ করতে গিয়ে লাখ টাকায় আট মাসের এক শিশু কিনে ধরা পড়েছেন এক ব্যক্তি। একইসঙ্গে বিক্রিতে জড়িত এক নারীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় মায়ের কাছ থেকে ফুসলিয়ে শিশুটিকে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া ব্যক্তি এখনো পলাতক আছে।
শিশুটিকে ফুসলিয়ে নেওয়ার দুই দিন পর বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে রেহেনা পারভীন (৪০) ও দিদারুল আলম (৫৫) নামে দু’জনকে গ্রেফতার ও শিশুটিকে উদ্ধার করেছে নগরীর চান্দগাঁও থানা পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, আট মাসের শিশু আব্দুল্লাহ হোসেন সাইমনের বাবা ওমর ফারুক পেশায় সিএনজি অটোরিকশাচালক। তাদের বাসা নগরীর চান্দগাঁও থানার বেপারী পাড়ায় মোরশেদ কলোনিতে।
চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুর রহিম সারাবাংলাকে জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রতিবেশী আমানুল হক মানিক অটোরিকশা চালক ওমর ফারুকের বাসায় যায়। এসময় সাইমন কান্না করছিল। মানিক তাকে শান্ত করার জন্য বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। ওমর ফারুকের কথায় সাইমনকে তার স্ত্রী শারমিন আক্তার তুলে দেন মানিকের হাতে। প্রায় তিন ঘণ্টা পরও মানিক ফিরে না আসায় ওমর ফারুক তার মোবাইলে ফোন করে দেখেন সেটি বন্ধ।
এ ঘটনায় ওমর ফারুকের দায়ের করা মামলায় পুলিশ বুধবার রাতে ফটিকছড়িতে গিয়ে অভিযান চালায়।
পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রহিম বলেন, ‘মানিকের দূরসম্পর্কের আত্মীয় রেহানা। আবার রেহানার দূরসম্পর্কের আত্মীয় দিদার। তিন মেয়ের বাবা দিদারের শখ ছিল একটি ছেলেসন্তানের। সে বিষয়টি রেহানাকে জানিয়েছিল। রেহানার পরামর্শে মানিক শিশু সায়মনকে কৌশলে নিয়ে তার কাছে তুলে দেয়। রেহানা দেয় দিদারকে। এক লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। দিদার প্রথম দফায় ১০ হাজার টাকা দিয়েছে। বাকি টাকা আজ (বৃহস্পতিবার) দেওয়ার কথা ছিল।’
ওমর ফারুকের দায়ের করা মামলায় দিদার ও রেহানাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রহিম।
৮ মাসের শিশুকে বিক্রি টপ নিউজ লাখ টাকায় শিশু কেনা শিশু বিক্রি