ব্যাগে ৬ দিন বয়সী শিশু, পাচারের অভিযোগে আটক মার্কিন নারী
৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৮:৩১ | আপডেট: ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১১:৩৫
ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার নিনয় অ্যাকুইনো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে ছয় দিন বয়সী এক নবজাতকসহ এক মার্কিন নারী আটক হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই নবজাতককে তিনি ফিলিপাইন থেকে পাচার করে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন সাজাও পেতে পারেন জেনিফার টালবট (৪৩) নামের ওই নারী। শিশুটিকে ফিলিপাইনের সামাজিক সুরক্ষা দফতরের হেফাজতে রাখা হয়েছে। শিশুটির মা-বাবার বিরুদ্ধে শিশু সুরক্ষা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) নিনয় অ্যাকুইনো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে এ ঘটনা ঘটে। পরে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) জেনিফারকে উপস্থিত রেখে সংবাদ সম্মেলন করে ফিলিপাইনের জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনবিআই।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঘাড়ে ঝোলানো একটি ব্যাগে করে শিশুটিকে বহন করেন জেনিফার। ব্যাগ কাঁধে নিয়েই তিনি ইমিগ্রেশন পার হন। তবে ইমিগ্রেশনে তিনি শিশুটির কথা বলেননি। পরে তিনি শিশুটিকে ব্যাগ থেকে বের করে নেন।
এনবিআইয়ের বিমানবন্দর বিভাগের প্রধান ম্যানুয়েল ডিমানো বলেন, বোর্ডিংয়ের সময় ডেলটা এয়ারলাইন্সের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা শিশুটির ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় ডক্যুমেন্ট চাইলে তা দেখাতে ব্যর্থ হন জেনিফার। পরে তারা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেন। কর্তৃপক্ষ আসার পর জেনিফার তাদেরও শিশুটির কোনো ডক্যুমেন্ট দেখাতে ব্যর্থ হন।
সংবাদ সম্মেলনে জেনিফারের বিরুদ্ধে শিশু পাচারের অভিযোগ আনা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
এনবিআইয়ের মুখপাত্র অরালিন প্যাসকুয়াল বলেন, জেনিফারের বিরুদ্ধে ২০০৩ সালের মানব পাচারবিরোধী আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন সাজা পেতে পারেন তিনি।
এনবিআই বলছে, শিশুটিকে দাভাও থেকে ম্যানিলায় নিয়ে যান জেনিফার। সেখান থেকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। জিজ্ঞাসাবাদের সময় জেনিফার কর্তৃপক্ষকে একটি ডক্যুমেন্ট প্রদর্শন করেন, যেটি শিশুটিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে সেই ডক্যুমেন্টে শিশুটির মায়ের কোনো সই ছিল না বলে জানিয়েছে এনবিআই।
এপি জানিয়েছে, এরই মধ্যে জেনিফারকে আটকের বিষয়টি মার্কিন দূতাবাসকে অবহিত করা হয়েছে।