Sunday 05 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্তও সর্বোচ্চ জিপিএ-৪ করতে চাচ্ছে সরকার


৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৬:৫২ | আপডেট: ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৬:৫৪

ঢাকা: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে প্রচলিত গ্রেড পয়েন্ট পদ্ধতিতে বদল আনতে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে বসবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। নতুন পদ্ধতিতে জিপিএ-৫ এর পরিবর্তে সর্বোচ্চ জিপিএ-৪ এ আনতে চাচ্ছে সরকার।

এ বিষয়ে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর (রোববার) দুপুর দেড়টায় রাজধানীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ বিষয়ে তিনি জানান, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল জিপিএ-৫ এর পরিবর্তে জিপিএ-৪ প্রবর্তনের লক্ষ্যে অংশীজনদের নিয়ে এ কর্মশালাটি হবে।

তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক শিক্ষা ব্যবস্থায় কোথাও জিপিএ-৫ পদ্ধতি নেই। এমনকি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও পড়াশোনা হয় সর্বোচ্চ জিপিএ মান চারে। ফলে বিদেশে পড়াশোনা ও চাকরির বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা কিছুটা বিপাকে পড়েন। ক্রেডিট ট্রান্সফারের ক্ষেত্রেও হয় ঝামেলা। সরকার এসব ঝামেলা সমাধান করতেই বর্তমান গ্রেড পয়েন্ট পদ্ধতিটি বদলাতে চাচ্ছেন।

গ্রেড পয়েন্ট কমাতে ইতোমধ্যেই একাধিক প্রস্তাবনা তৈরি করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। এসব প্রস্তাবনা মূল্যায়নের জন্যই বোর্ড প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে বসছেন শিক্ষামন্ত্রী।

যেখানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বুয়েটের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায়োগিক পরিসংখ্যান ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান ও হোসনে আরা বেগম, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

এ কর্মশালায় শিক্ষাবিদ ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তা, সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড চেয়ারম্যান, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির বিশেষজ্ঞ, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ, বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট কর্মকর্তাদের থাকতে বলা হয়েছে।

এর আগে, চলতি বছরের জুন মাসে গ্রেডিং পদ্ধতি বদলের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ পাঠান বাংলাদেশের আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। সেখানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ এক্সিলেন্টসহ ১০টিরও বেশি গ্রেড রাখার প্রস্তাব করা হয়।

প্রস্তাবনায়, সর্বোচ্চ গ্রেড নম্বর ৯০-১০০ অথবা ৯৫-১০০ এবং ৮০-৮৯ নম্বর দিয়ে দ্বিতীয় গ্রেড রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

জিপিএ মাধ্যমিক শিক্ষামন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর