Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বে টার্মিনাল নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত: নৌ প্রতিমন্ত্রী


৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:৩৪ | আপডেট: ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:২৭

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বন্দরের প্রস্তাবিত বে টার্মিনাল নিয়ে সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর প্রশিক্ষণ ইনস্টিটউটে নবগঠিত ‘বন্দর উপদেষ্টা কমিটির’ প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, ‘সভায় বে টার্মিনাল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটি যেন দ্রুত হয়। বে টার্মিনালের ক্ষেত্রে সরকার চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। যে কোনো মুহূর্তে আবার এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি। যত শীঘ্রই টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু করা যায় সে ব্যাপারে স্টেক হোল্ডারদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছয়কিলোমিটার দূরে পতেঙ্গার খেজুরতলা থেকে কাট্টলী পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার এলাকায় ‘বে টার্মিনাল’ নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়। বিকল্প বন্দর হিসেবে প্রস্তাবিত বে টার্মিনাল নির্মিত হলে ১০ থেকে ১২ মিটার ড্রাফট (জাহাজের পানিতে নিমজ্জিত অংশের গভীরতা) ও ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ চালানো সম্ভব বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে।

কর্ণফুলী খনন নিয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন প্রতিমন্ত্রী খালিদ। চলমান খননকাজ কবে নাগাদ শেষ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কর্ণফুলী আমাদের লাইফ লাইন। এটাকে ব্যবহার উপযোগী রাখতে যে পদক্ষেপ নেয়া দরকার আমরা নিচ্ছি। যে যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা দরকার তা আমরা করছি। ড্রেজিং এমন একটা জিনিস, সিলটেশন হয়। এটা চলমান প্রক্রিয়া, থেমে থাকবে না।’

বিজ্ঞাপন

সভায় বন্দরের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়া এবং বহির্নোঙরে জাহাজের অপেক্ষায় থাকার সময় বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেওয়া ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।’

‘বহির্নোঙরে এখনও নাভিশ্বাস হয়নি। আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। নানা কারণে বন্দরে কনজেশন হচ্ছে। এই সেক্টরটা অনেক সময় প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। প্রকৃতি অনেক সময় বাধা হয়ে থাকে। জটিলতা তৈরি হয়। নিলামযোগ্য কন্টেইনার সরানো আরও স্মুথ করা দরকার। স্ক্যানার সরকার অনুমোদন করে দিয়েছে। এগুলো চলে আসলে আরো গতিশীল হবে।’ বলেন প্রতিমন্ত্রী খালিদ।

সভায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নতির সঙ্গে কেবল দেশের উন্নয়ন জড়িত তা নয়। এ বন্দরের উন্নতির সঙ্গে পুরো অঞ্চলের উন্নতি নির্ভর করে।’

উপদেষ্টা কমিটির প্রথম সভায় ২৪টি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, চন্দনাইশের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলমসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম নৌমন্ত্রী বে -টার্মিনাল

বিজ্ঞাপন

জীবন থামে সড়কে — এ দায় কার?
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫২

আরো

সম্পর্কিত খবর