Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে চায় বিএনপি


৩১ আগস্ট ২০১৯ ১৯:৪৪

ঢাকা: কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে চায় রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি।

শনিবার (৩১ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রয়াত চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণ সভা আয়োজন করে ‘ভাসানী অনুসারী পরিষদ’।

বিজ্ঞাপন

স্মরণ সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীল বলেন, ‘দেশে আজ অনেক সংকট। এর মধ্যে রোহিঙ্গা সংকট ভয়াবহ। এর ভবিষ্যৎ কী হবে, বলা মুশকিল। তবে এটুকু আঁচ করতে পারছি, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।’

‘এখন তারা (সরকার) বলছে, আমরাই নাকি দায়ী। আমরা যদি কথা না বলতাম, তারা (রোহিঙ্গা) নাকি অনেক আগেই চলে যেত’— বলেন মির্জা ফখরুল।

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা তো যাওয়ার জন্য এতটুকু ব্যবস্থা করতে পারেননি। যারা নেওয়ার ব্যবস্থা করবে, তাদের সঙ্গে তো একটা মিটিংও করতে পারেননি। আপনারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এমন কিছু করতে পারেননি, যা আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। উপরন্তু যারা চাপ দেবে, তারাই এখন মিয়ানমারের পক্ষে।’

ফখরুল বলেন, ‘যে আমেরিকা দুই দিন আগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কথা বলছিল, সেই আমেরিকা একজন কংগ্রেসম্যান এখন বলছেন, মিয়ানমারের ভেতরে যে আইন, অর্থাৎ তাদের যে ডমেস্টিক ল’ সেই লয়েই এই অপরাধগুলোর বিচার হওয়া উচিত।’

‘তাহলে কোথায় যাচ্ছেন আপনারা? উল্টা আবার বলছেন, আমরা নাকি কথা বেশি বলছি, সেই জন্য… আরে কথা তো বলছি তোমাদের পক্ষে। তোমাদের হাতকে আমরা শক্তিশালী করতে চাই, যাতে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পার’— বলেন বিএনপির মহাসচিব।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তো পরিষ্কার করে বলেছি, এ ব্যাপারে একটা জাতীয় কনভেনশন ডাকা হোক। সমস্ত রাজনৈতিক দলকে এক করে বাংলাদেশ যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একমত, সেটা প্রকাশ করা হোক। তাহলেই আপনাদের (সরকার) হাত শক্তিশালী হবে, তাহলেই আপনারা বিশ্বের সঙ্গে দরি-দরবার করে মিয়ানমারকে পরাস্ত করতে পারবেন।’

‘না, সেটা ভাল লাগল না। উনারা (ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ) জাতীয় ঐক্য-টক্যে বিশ্বাস করেন না। একাই তারা সব করতে পারবে— এটাই তাদের চিন্তা। এই করে তারা ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েম করেছিল। আবার তারা সেটাই করতে চায়। কিন্তু সেটা রুখে দিতে হবে। এ দেশের জনগণ কখনই গণতন্ত্রবিহীন অবস্থা মেনে নেবে না’— বলেন বিএনপির মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, অবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। এই নির্বাচন এ দেশের মানুষ মানে না। কেয়ারটেকার সরকার ছিল, সেটা বাতিল করলেন কেন? বাতিল করেছেন এই জন্যই যে, যদি কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, তাহলে আপনারা কোনো দিনও ক্ষমতায় আসতে পারবেন না।’

নিরপেক্ষ সরকার ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আপনাদের ওই দাসানুদাস নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করবেন, সেটা আর হবে না। তাই আমরা স্পষ্ট করে বলছি, এই নির্বাচন বাতিল করুন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে জনগণের পার্লামেন্টে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করুন। জনগণের পার্লামেন্ট ছাড়া আপনারা কোনো দিনও রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধন করতে পারবেন না।’

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘আপনাদের মুখে হতাশার কোনো ছবি দেখতে চাই না। আমরা হতাশ নই, আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে যাব। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। জনগণ লড়াই করতে জানে, লড়াই করেছে। অধিকারের জন্য তারা অবশ্যই লড়াই করবে এবং বাধ্য করবে একটা নির্বাচন করতে, যে নির্বাচনে জনগণের দ্বারা জনগণের পার্লামেন্ট তৈরি হবে।’

মওলানা ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি নেতা জহিরুদ্দীন স্বপন, বাংলাদেশ পিপল পার্টির চেয়ারম্যান রিটা রহমান প্রমুখ।

টপ নিউজ বিএনপি রোহিঙ্গা শক্তিশালী সরকার সহযোগিতা

বিজ্ঞাপন

বাসচাপায় ২ কলেজছাত্র নিহত
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৮

আরো

সম্পর্কিত খবর