‘আমি বিচার চাই, কিন্তু স্যারের কোনো দোষ নাই’
২৬ আগস্ট ২০১৯ ২১:৫০
জামালপুর: অধস্তন কর্মীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল হওয়া জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর নির্দোষ বলে দাবি করেছেন সেই অফিস সহায়ক সানজিদা ইয়াসমীন সাধনা। একইসঙ্গে ভাইরাল হওয়া ভিডিও সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন তিনি।
সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সাধনা। রোববার (২৫ আগস্ট) কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার পর তিনদিনের ছুটির আবেদন জমা দিতে সোমবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যান তিনি।
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে এই অফিস সহায়ক বলেন, ভিডিও সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না, তবে সাবেক জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের কোনো অপরাধ নেই। এসময় তাকে ধিক্কার না দিয়ে বাঁচার মতো ব্যবস্থা করে দিতেও অনুরোধ জানান সাধনা।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনার বিচার চান কি না জানতে চাইলে সাধনা বলেন, ‘আমি বিচার চাই, কিন্তু স্যারের (সাবেক ডিসি আহমেদ কবীর) কোনো দোষ নাই। স্যার নির্দোষ, স্যার আমার কোনো ক্ষতি করে নাই।’
এই ঘটনার পর বেঁচে থাকার কোনো ইচ্ছা না থাকলেও শুধুমাত্র সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে বেঁচে আছেন বলেও সাংবাদিকদের জানান তিনি।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের ব্যক্তিগত কক্ষে তার সঙ্গে সানজিদা ইয়াসমীন সাধনার একটি অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর রোববার (২৫ আগস্ট) ছিল প্রথম কর্মদিবস। তবে রোববার অফিসে আসেননি সাধনা। সোমবার সকালে অফিসে আসেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনদিনের ছুটি চেয়ে করা একটি আবেদন জমা দিতেই মূলত তিনি কার্যালয়ে যান।
সেখানে পৌঁছার কিছুসময় পরে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরেন সাধনা। পরে সহকর্মীরা তার চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে তাকে কিছুটা সুস্থ করেন। এরপর তিনি ছুটির দরখাস্ত জমা দেন।
এর আগে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর জামালপুর থেকে ওএসডি করা হয় আহমেদ কবীরকে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় রোববার এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। একইসঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ এনামুল হককে জামালপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।