Sunday 05 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে দেশীয় বাজারে


২৩ আগস্ট ২০১৯ ১৫:১৫ | আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০১৯ ১৯:৩৭

ঢাকা: ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের বাজারে। মাস খানেকেরও কম ব্যবধানে দেশীয় বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে অন্তত ১০ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ায় তার সরাসরি প্রভাব পড়েছে দেশি পেঁয়াজেও। পাইকারি বাজারে কেজিতে দেশি পেঁয়াজের দাম অন্তত ৫ টাকা বেড়েছে।

বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি ও মৌসুমের শেষ দিকে এসে সরবরাহ কমায় সামগ্রিকভাবে এর বাজার বেড়েছে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারী বাজার ও কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

কারওয়ান বাজারের পাইকারী বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৪৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে তা ৩৬ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। আর খুচরা বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারী বাজারে ৪৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, ঈদের আগে যা ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা শরীফুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, দেশি পেঁয়াজের মৌসুম শেষ। তাই সরবরাহ কম। মোকামেই দাম বেশি। মোকামে বেশি থাকায় আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আরেক বিক্রেতা বলেন, এখন ১৬শ থেকে ১৭শ টাকা মণে আমাদের পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে, ঈদের আগে এখন এর দাম ছিল ১২শ থেকে ১৩শ টাকা। এছাড়া, আগে এক বস্তা পেঁয়াজ আনাতে ৮০ টাকা খরচ হতো এখন ১শ টাকা খরচ হচ্ছে। এসব কারণেই দাম বেড়েছে। আরেক বিক্রেতা সেলিম বলেন, হঠাৎ করেই আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে অন্তত ১০ থেকে ১২ টাকা বেড়েছে। আর এর প্রভাবেই দেশি পেঁয়াজ কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা।

বিজ্ঞাপন

পাইকারী বাজারে ভারতীয় পেয়াজ ঈদের আগে ৩২ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ৪৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতা রাজা আলী। তিনি বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি কম। তাই দাম বেশি। ভারতেই নাকি এখন পেঁয়াজের দাম বেশি। ঈদের আগে ২৮ থেকে ২৯ টাকা কেজিতে কিনে আনতাম। এখন কিনতে হচ্ছে ৪৩ থেকে ৪৪ টাকায়। ফলে আগের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

এদিকে খুচরা বাজারে রসুন ও আদা ২০০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে পাইকারি বাজারে রসুন ১৫০ টাকা ও আদা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারী এক বিক্রেতা বলেন, পাইকারী বাজারে আদা ও রসুনের দাম ঈদের আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, আগে ছিল ১২০ টাকা। চীনা রসুন ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা ছিল, এখন ১৫০ টাকা।

বাজারে কমেছে মাছ মাংস ও ডিমের দাম। সব ধরনের মুরগির মংসের দাম কমেছে। পোল্ট্রি ১২০ টাকা, পাকিস্তানি কর্ক ২৩০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কমেছে ডিমের দামও। কারওয়ানবাজারে ডিমের পাইকারি বিক্রেতা লিটন বলেন, ঈদের আগের চেয়ে ডিমের দাম কমেছে। আগে ১১০ টাকা ডজন বিক্রি হলেও এখন ১০৫ টাকা ডজনে বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজের দাম

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর