Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ এবারও ব্যর্থ


২২ আগস্ট ২০১৯ ১৬:৪০ | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০১৯ ১৮:৫২

কক্সবাজার: কোনো রোহিঙ্গা পরিবার মিয়ানমারে ফিরতে রাজি না হওয়ায় আজও প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দ্বিতীয়বারের মতো প্রত্যাবাসনের দিন নির্ধারিত থাকলেও এদিন কোনো রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে পাঠানো যায়নি। তবে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে মতামত যাচাইয়ে নতুন করে আরও ৬০টি পরিবারের সাক্ষাৎকার নিয়েছে ইউএনএইচসিআর। আর এই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে কক্সবাজার শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম জানান, মিয়ানমারের ছাড়পত্র পাওয়া ৩ হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গার ১০৩৭টি পরিবার প্রধানের পর্যায়ক্রমে মতামত যাচাই করা হবে। এদের মধ্যে স্বেচ্ছায় কেউ মিয়ানমার যেতে চাইলে যেকোনো দিন প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে।

এর আগে বুধবার (২১ আগস্ট) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সারাবাংলাকে জানান, যারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাইবেন না তাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠানো হবে। পাশাপাশি কক্সবাজারের একাধিক শিবিরে যেসব বেসরকারি বিদেশি উন্নয়ন সংস্থা প্রত্যাবাসনের বিপক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমনকি বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন প্রত্যাবাসন নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ সবধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেও এখনও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক।’

তিনি বলেন, আমরা আশা করেছিলাম আজ (বৃহস্পতিবার) স্বল্প আকারে হলেও প্রত্যাবাসন শুরু হবে। তবে এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি। কিন্তু আমরা আশা ছাড়িনি। আমরা এখনো প্রত্যাবাসন ইস্যুতে আশায় বুক বেঁধে আছি। ’

বিজ্ঞাপন

এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে একমত হয় বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। তবে মিয়ানমার এখনও রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেনি বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের।

শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, মিয়ানমার সরকার ৩ হাজার ৪৫০ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণায় অনেকটা তড়িঘড়ি করেই প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। গত ২০ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার মাধ্যমে প্রত্যাবাসনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ট্রানজিট পয়েন্ট দিয়ে স্বেচ্ছায় যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের জন্য যানবাহন ও নিরাপত্তাসহ সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। প্রত্যাবাসন পর্যবেক্ষণের জন্য মিয়ানমার দূতাবাসের এক কর্মকর্তা ও চীনা দূতাবাসের দুই কর্মকর্তাও কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। কিন্তু রোহিঙ্গারা বলছেন, তাদের যেসব দাবি রয়েছে সেগুলো পূরণ না হলে তারা মিয়ানমারে ফিরে যাবেন না।

উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ইউএনএইচসিআর-এর কাছে ২৯৫টি পরিবার সাক্ষাৎকার দিয়েছে বলে জানা গেছে। টেকনাফের ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা কাম্পে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে মতামত যাচাইয়ে এ সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: মিয়ানমারে ফিরে না গেলে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানো হবে: মন্ত্রী

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি, এখনো আশায় বুক বেঁধে আছি’

সারাবাংলা/পিটিএম

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর