২১ আগস্ট: মৃত ভেবে লাশের সঙ্গে ফেলে রাখা হয়েছিল তাকে
২১ আগস্ট ২০১৯ ১০:০৪ | আপডেট: ২১ আগস্ট ২০১৯ ১১:৫৭
ভৈরব: দেশের ইতিহাসে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা ও হত্যাকাণ্ডের পনের বছর পেরিয়ে যাচ্ছে। তবু সে দুঃস্বপ্ন ও বিভীষিকা এখনও তাড়া করে ফেরে ভৈরবের নাজিম উদ্দিনকে। মৃত্যুর কত কাছ থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। গুরুতর আহত নাজিমকে চিকিৎসকরাও মৃত ভেবে লাশের সঙ্গে ফেলে রেখেছিল। তবে তিনি জীবন ফিরে পান অলৌকিকভাবে।
প্রাণে বেঁচে গেলেও নাজিম উদ্দিন এখন ভোগ করছেন অসহ্য যন্ত্রণা। পায়ে ও বুকে অসংখ্য স্প্লিন্টার আর ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। পরিবার-পরিজন নিয়ে আছেন অর্থাভাবে। এখনও করাতে পারছেন না পর্যাপ্ত চিকিৎসা।
বর্তমানে তার বুকে ও ২ পায়ে অসংখ্য স্প্লিন্টার রয়েছে। শীতকালে ভোগান্তিটা হয় বেশি। দেহে স্প্লিন্টার কারণে অসহ্য যন্ত্রণায় তার রাত কাটে আর গরম এলে চুলকানিতে শরীর দিয়ে রক্ত ঝরে।
সেই দুঃসহ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে নাজিম জানান, হামলার পর প্রথমে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ভেবে লাশের সঙ্গে ফেলে দিয়েছিল। পরে জ্ঞান ফিরে এলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেনাল হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ভারতে চিকিৎসার জন্য পাঠান। ভারতে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এলে তার বুকে ও পায়ে ৪টি মেজর অপারেশন করা হয়। তবে এখনও তিনি পুরোপুরি সুস্থ-স্বাভাবিক নয়।
তিনি আরও বলেন, ঘাতকদের গ্রেনেড হামলায় ইতোমধ্যে অনেকে মারা গেছেন। গত ১৫ বছর ধরে অনেকে আবার আহত অবস্থায় মৃত্যু যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছেন। যারা বেঁচে আছেন তারা অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেন না। এভাবে আমরা তিলে তিলে নিঃশ্বেস হয়ে যাচ্ছি। তাই আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন এবং হামলাকারীদের ফাঁসির দাবি করছি সরকারের কাছে।
শুধু আগষ্ট মাস এলে মিডিয়া গ্রেনেড হামলায় আহতদের খোজঁ-খবর নেয় বলে অভিযোগ করেন নাজিম। তিনি বলেন, বছরের বাকি মাসগুলোতে কেউ আমাদের খবর নেয় না ।