ধর্ষণের অভিযোগে ১২ দিন পর মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে মামলা
২০ আগস্ট ২০১৯ ১৩:৫৯ | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৯ ১৪:১২
বাগেরহাট: পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার ১২ দিন পর বাগেরহাটের শরণখোলার এক মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই ১২ দিন স্থানীয় প্রভাবশালীরা দেনদরবারের মাধ্যমে বিষয়টি মিটমাটের চেষ্টা করেন।
সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে শরণখোলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন নির্যাতিত শিশুর বাবা।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মাওলানা ইলিয়াছ জোমাদ্দার (৪৮)। তার বাড়ি শরণখোলা উপজেলার পূর্ব রাজাপুর গ্রামে। তিনি খোন্তাকাটা রাশিদিয়া (স্বতন্ত্র) এবতেদায়ি মাদরাসার সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে তিনি পলাতক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শরণখোলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহফিজুর রহমান বলেন, গত ৮ আগস্ট সকাল ৭ টার দিকে কোরআন শিক্ষার জন্য ইলিয়াছ জোমাদ্দারের কাছে যায় ওই ছাত্রী। পড়া শেষ হলে সকাল পৌনে ৮টার দিকে তিনি ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে লাইব্রেরি কক্ষে নিয়ে যান। এরপর কক্ষের দরজা জানালা বন্ধ করে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে ঘটনাটি কাউকে জানালে হত্যা করার হুমকি দিয়ে শিশুটিকে ছেড়ে দেন।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটি বাড়ি ফিরে মাকে পুরো ঘটনা খুলে বলে। তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে মোরেলগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এদিকে এই ঘটনার পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় প্রভাবশালীদের নিয়ে দেনদরবার করেন ইলিয়াস। শিশুটির বাবাকে মামলা না করতেও পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘ ১২ দিনেরও কোনো সুরাহা না হওয়ায় সোমবার রাতে মামলা করেন শিশুটির বাবা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, শিশুটির বাবার করা মামলার পর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
টপ নিউজ ধর্ষণ মামলা মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে মামলা শিশু ধর্ষণ