সিরিজ বোমা হামলাকারীরা পাকিস্তানের এজেন্ট: হানিফ
১৭ আগস্ট ২০১৯ ১৬:০২ | আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০১৯ ১৯:১১
ঢাকা: ২০০৫ এর ১৭ আগস্টে সিরিজ বোমা হামলাকারী এখনো পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্রিয় আছে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
হানিফ বলেন, ‘এরা অশুভ শক্তি, এরা পাকিস্তানের এজেন্ট। এরা পাকিস্তানের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য এখনও চক্রান্তে লিপ্ত আছে। এরা দেশ এবং জাতির শত্রু।’
শনিবার (১৭আগস্ট) দুপরে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে এক মানববন্ধনে হানিফ এ সব কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মেয়াদে সারাদেশে একযোগে ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার ১৪তম বার্ষিকীতে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর আয়োজন করে।
২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে সারাদেশে জঙ্গি-মৌলবাদী গোষ্ঠীর উত্থানের গডফাদার ছিল তারেক রহমান বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ।
এ কারণে তারেক রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের নির্দেশে বাংলাদেশকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল এবং আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিকতায় গত দশ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রগতির পাশাপাশি সরকার সন্ত্রাস এবং জঙ্গিকে কঠোরভাবে দমন করে দেশকে সন্ত্রাস এবং জঙ্গিমুক্ত দেশ হিসাবে আন্তর্জাতিক মহলে সুপরিচিত করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন, এটি অন্য কিছু নয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা যেমন কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না, এটা ছিল একাত্তরের পরাজয়ের চরম প্রতিশোধ। সেই পরাজিত শক্তি পাকিস্তান এবং তাদের পশ্চিমা শক্তি মার্কিন সাম্রাজ্যসহ আরও অনেকে। ঠিক তারই সূত্র ধরে পাকিস্তানের নীলনকশায় এই বিএনপি-জামায়াত তাদের এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য সকল চক্রান্তে লিপ্ত ছিল। পাকিস্তানের এজেন্ট হিসাবে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছেন জিয়াউর রহমানের উত্তরাধিকার তার সহধর্মিনী খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক রহমান।’
‘এরা সিরিজ বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল, সেই অশুভ শক্তি বিএনপি-জামায়াত এখনো তৎপর আছে’ বলেও দাবি করেন হানিফ।
এরা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে কিছু করতে পারবে না দাবি করে হানিফ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব কয়েকদিন আগে বলেছিলেন বেগম জিয়াকে আন্দোলন করে মুক্ত করা সম্ভব হবে না। তার এ উপলব্ধির জন্য ধন্যবাদ। কারণ যে আন্দোলনের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই সেই আন্দোলন কখনও সফল হতে পারে না। বেগম জিয়া দুর্নীতিবাজ, আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত, এতিমের টাকা আত্মসাৎ করার কারণে দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে কারাগারে আছেন। একজন আদালতস্বীকৃত দুর্নীতিবাজের মুক্তির জন্য বাংলাদেশের জনগণের কোনো দায় নেই। এটি মির্জা ফখরুল সাজেবরা বুঝতে পেরেছেন।’
১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার মধ্য দিয়ে তৎকালীন সরকারের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে মৌলবাদী জঙ্গির উত্থান ঘটেছিল দাবি করেন তিনি। হানিফ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই বিএনপি, এই অশুভ শক্তি এরা দেশ এবং জাতীয় শত্রু। এরা পাকিস্তানের এজেন্ট। এরা পাকিস্তানের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য এখনো চক্রান্তে লিপ্ত আছে।’
‘আসুন, আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই এবং এই অশুভ শক্তির চিরতরে অবসান ঘটাব-এই হোক আমাদের সকলের অঙ্গীকার।’
মানববন্ধন সমাবেশে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথসহ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ টপ নিউজ বোমা হামলা মাহবুব উল আলম হানিফ সিরিজ বোমা হামলা