ডেঙ্গুর ভয় নিয়ে শুরু ঈদ উৎসব
১২ আগস্ট ২০১৯ ০৮:৪৯ | আপডেট: ১২ আগস্ট ২০১৯ ০৮:৫৬
ঢাকা: সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে ঈদের আনুষ্ঠানিকতা।
দেশের বেশিরভাগ স্থানেই সকাল ৭টায় হয়েছে ঈদের প্রথম জামাত। নামাজ শেষে যার যার সাধ্য-সামর্থ অনুযায়ী পশুর কোরবানি করতে শুরু করেন ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা। লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ নিয়ে মনে যে পশু বাস করে, তাকে পরাভূত করাই পবিত্র ঈদুল আজহার প্রকৃত উদ্দেশ্য।
এবার যেহেতু দেশে ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে তাই প্রায় প্রতিটি মসজিদেই ঈদের জামাত শেষে এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কামনা করা হয়েছে দেশের উত্তোরোত্তর সাফল্যও।
ডেঙ্গুর ভয়ে এবারের ঈদ উৎসব কিছুটা ফিকে মনে হলেও মানুষ যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন দিনটাকে সুন্দর করতে।
বরাবরের মতো এবারও পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ উৎসব পালন করতে ঢাকা ছেড়েছেন লাখো মানুষ। ফলে রাজধানী ঢাকা আজ তুলনামূলক ফাঁকা। সড়কে নেই যানজট বা যানবাহনের চাপ। বরং অলিতে গলিতে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে চোখে পড়ছে পশু কোরবানির দৃশ্য।
দিনশেষে এসব বর্জ্য ব্যবস্থাপনাই সিটি করপোরেশনের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যদি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনই জানিয়েছে, পুরোপুরি প্রস্তুত তারা। পশু জবাইয়ের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ করার কথা জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ (ডিএসসিসি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে রাজধানীতে প্রস্তুত রয়েছে তাদের ১৪ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী। সেই সঙ্গে দুই সিটি ইতোমধ্যে হটলাইন নম্বরও চালু করেছে। যাতে কোথাও বর্জ্য থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তা যেন সিটি করপোরেশনকে ফোন করে জানানো যায়।
এবারও আজকের দিনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছেন পেশাদার কসাইরা। কারণ দ্রুত পশু জবাই ও মাংস কাটার কাজে তারা দক্ষ। যদিও এই একদিনের জন্য গোটা শহরেই প্রচুর অপেশাদার কসাই পাওয়া যায়। বিশেষ করে দিনমজুর, রিকশাচালকের মতো পেশার লোকজন একটু বাড়তি আয়ের আশায় একদিনের জন্য কসাইয়ের খাতায় নাম লেখান। তবে তারা পেশাদার না হওয়ায় হয়ত পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে তুলনামূলক বেশি সময় লাগে।
সব মিলিয়ে দেশের মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আর গোটা দেশজুড়েই বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। যদিও বহু পরিবারের মানুষ ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি। সেইসব পরিবারের সদস্যরাও প্রার্থনা করছেন যেন দ্রুত রোগমুক্তি ঘটে। আবার তারা ফিরতে পারেন স্বাভাবিক জীবনে।