কামারবাড়িতে ঈদের ব্যস্ততা, বেড়েছে ছুরি-বটির দাম
১০ আগস্ট ২০১৯ ১২:১৫ | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০১৯ ১৩:২৪
ঢাকা: ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে বাড়ছে কামারদের ব্যস্ততা। একদিকে হাপরে আগুনের শিখা অন্যদিকে হাতুরির টুংটাং শব্দে তৈরি হচ্ছে দা, বটি, ছুরি ও চাপাতি। শহর কিংবা গ্রাম সব জায়গার কামার বাড়ির চিত্রই এখন এমন।
রাজধানীর কারওয়ানবাজার ঘুরে কামারিদের দোকানে দেখা গেছে ভিড়। ঢাকার বাইরের চিত্রও প্রায় একই রকম। কারওয়ানবাজারে দোকানগুলোতে লোহার মানভেদে চামড়া ছাড়ানো ছুরি ৫০ থেকে ৩০০, দা ১৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পশু জবাইয়ের ছুরি ৩০০ থেকে ১৮০০ টাকা, বটি ২৫০ থেকে ৬০০, চাপাতি ৩০০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কামারি বিল্লাল হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত কয়েকদিন বেচাকেনা ভালো থাকলেও বৃষ্টির কারণে ক্রেতা কিছুটা কম। লোহা ও কয়লার দাম বেড়েছে। তাই দা, ছুরির দামও একটু বেশি। আমাদের বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, সব দোকানেই কমবেশি ক্রেতা রয়েছে। কারওয়ানবাজারের প্রায় ৪০টি দোকানের সবগুলোই নতুন দা বটিতে সেজেছে। ব্যস্ত রয়েছেন কামারিরা। শেষ মুহূর্তে শান দিচ্ছেন ছুরি চাপাতিতে।
ফার্মগেট থেকে ছুরি ও দা বানাতে আসা রনি বলেন, ‘কোরবানির ঈদ, তাই নতুন দা বটির দরকার হয়েছে৷ এক হাজার ছয়শ টাকা দিয়ে দা বানালাম। ছুরিও নিয়েছি কয়েকটি। চামড়া ছড়ানোর ছুরি নিয়েছি দুটি। কিন্তু গতবারের চেয়ে এবার দাম বেশি।’
এদিকে কারওয়ানবাজারে বিভিন্ন কামারের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, পশু কোরবানির জন্য অনেকেই দা, ছুরি ও বটিতে শান দেওয়ার জন্য এসছেন। কেউ আবার এসেছেন নতুন দা, বটি, ছুরি কেনার জন্য। ফলে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কামারদের বিরামহীন ব্যস্ততা।
চাপাতি ও চাকু ধার দিতে আসা সোহেল বলেন, ‘প্রতিবছরের মতন এবারও চাপাতি ও চাকু ধার দিতে এসেছি। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বসে আছি, এখনও সিরিয়াল পাইনি।’
বাংলামোটরের শাহীন বলেন, ‘অন্য সময় যা ধার করতে ২৫ টাকা লাগত, এখন তা ৪০ টাকায় করতে হচ্ছে। যে চাকু ৫০ টাকায় কেনা যেত, এখন তা ১৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। সবকিছুর দামই বেশি।’