Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেখ কামালের মধ্যে অহমিকা ছিল না: তোফায়েল আহমেদ


৫ আগস্ট ২০১৯ ১৯:১৬ | আপডেট: ৫ আগস্ট ২০১৯ ১৯:১৮

ঢাকা: জাতির পিতার সন্তান হওয়া সত্ত্বেও শেখ কামালের মধ্যে কোনো অহমিকাবোধ ছিল না। তিনি ছিলেন বিনয়ী ও মার্জিত, দাম্ভিকতা ছিল তার স্বভাববিরুদ্ধ। পরোপকারী ও বন্ধুবৎসল শেখ কামালের বিনম্র আচরণে সবাই মুগ্ধ হতো বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তোফায়েল আহমেদ।

সোমবার (৫ আগস্ট) দুপু‌রে শিল্পকলা একাডেমিতে যুবলীগের এক আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘৬৯-এ পাকিস্তানি সামরিক জান্তা সরকার ধর্মীয় উগ্রতার পরিচয় দিয়ে রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ করে। শেখ কামাল তখন রবীন্দ্র সংগীত শিল্পীদের সংগঠিত করেন এবং রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটি খ্যাতিমান শিল্পী জাহিদুর রহিমকে দিয়ে বিভিন্ন সভা ও অনুষ্ঠানে গাওয়ানোর উদ্যেগ নেন। বাঙালি জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতার সন্তান তিনি, জন্ম থেকেই তার ধমনীতে নেতৃত্বগুণ আর জাতীয়তাবোধের চেতনা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে যখন যেখানে সুযোগ পেয়েছেন, সেখানেই বিশ্বকবির গান গেয়ে অহিংস প্রতিবাদের অসাধারণ উদাহরণ রেখেছেন।’

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম এ সদস্য বলেন, “দেশ স্বাধীনের পর ৭২ এ ‘আবাহনী সমাজকল্যাণ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এ সংস্থার নামে সংগঠিত করেন ফুটবল দল ‘ইকবাল স্পোর্টিং’ আর ক্রিকেট, হকির দল ‘ইস্পাহানী স্পোর্টিং’। পরে এসব দলের সমবায়ে নবোদ্যমে যাত্রা শুরু করে ‘আবাহনী ক্রীড়া চক্র’। ফুটবল, ক্রিকেট, হকি এই খেলাগুলোতে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল কামালের। শুধু ক্রীড়াই নয় শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির সব শাখাতেই ছিল তার মুন্সিয়ানা ও অসামান্য সংগঠকের ভূমিকা।”

বিজ্ঞাপন

সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন, ‘শেখ কামাল হলেন বহুমাত্রিক গুণে গুণান্বিত। তারুণ্যের দীপ্ত উদাহরণ ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। আমরা আমাদের যুব সমাজকে যেভাবে দেখতে চাই শেখ কামাল যেন তারই প্রতীক। বাংলাদেশের ঘরে ঘরে শেখ কামালের আদর্শ আলোকিত হওয়া আজ সময়ের দাবি।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য, শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরণ, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, মো. আতাউর রহমান, অধ্যাপক এ বি এম আমজাদ হোসেন, শাহজাহান ভূইয়া মাখন, মো. আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক, মহিউদ্দীন আহমেদ মহি, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক, মুহা. বদিউল আলম, সম্পাদকমণ্ডলির সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন এবং দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনউদ্দীন রান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমসহ অন্যরা।

তোফায়েল আহমেদ শেখ কামাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর