তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে কাপ্তাই হ্রদে আবার শুরু মাছ শিকার
১ আগস্ট ২০১৯ ১৮:৩১ | আপডেট: ১ আগস্ট ২০১৯ ১৮:৩৮
রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে প্রাকৃতিক পরিবেশে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত তিন মাসের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই) মধ্যরাতের পর থেকে আবার শুরু হয়েছে মাছ শিকার ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ কৃত্রিম জলাধার রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদকে ঘিরে আবারো বেড়েছে কর্মচাঞ্চল্য। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকাল থেকেই জেলার বিভিন্নস্থান থেকে আড়তদাররা মাছ সংগ্রহ করে ফিশারি ঘাটে আনছেন। তারপর সরকারি রাজস্ব মিটিয়ে ব্যবসায়ীরাও এসব মাছ পাঠিয়ে দিচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
রাঙ্গামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী বহুমূখী সমবায় সমিতির সভাপতি ও মৎস্য ব্যবসায়ী উদয়ন বড়ুয়া সারাবাংলাকে জানান, ‘দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারো মাছের ব্যবসা চালু হওয়ায় আমি দারুণ খুশি। কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারের ওপর প্রায় ২০ হাজার জেলের জীবিকা নির্ভর করে। তাদের আয়ের একমাত্র পথ হচ্ছে এই মাছ শিকার। এটি আবারো চালু হওয়ায় সকলেই খুবই আনন্দিত।’
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটি অফিস সূত্র জানিয়েছে, ‘কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার শুরু হলেও নয় ইঞ্চির নিচে কোনো পোনা মাছ ধরা যাবে না। তাছাড়া বিএফডিসির নির্ধারিত অবতরণ কেন্দ্র ব্যতীত অন্য কোথাও মৎস্য অবতরণ করা যাবে না। মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন নির্ধারিত শুল্ক পরিশোধ ব্যতীত কোনো মাছ বা শুটকি বিক্রয় করা যাবে না।’
উল্লেখ্য, কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষম বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরাসহ হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিবছরই কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দেয় জেলা প্রশাসন। ৭২৫ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত এই কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য শিকার ও বিপণন করে জীবিকা নির্বাহ করে ২২ হাজার জেলে। অবতরণ কেন্দ্রের সাথে জড়িত ৩ শতাধিক শ্রমিক ও এক শতাধিক ব্যবসায়ী।
আবার শুরু মাছ শিকার কাপ্তাই হ্রদ তিন মাসের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার