ডিআইজি মিজানের জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর
৩১ জুলাই ২০১৯ ১৫:৩৬ | আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৯ ১৫:৪৫
ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৪ জুলাই ডিআইজি মিজানের পক্ষে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেছিলেন। সেদিন আদালত জামিন শুনানির জন্য আজকের (বুধবার) দিন ঠিক করেছিলেন।
আসামি পক্ষে জামিন শুনানি করেন এহেসানুল হক সমাজী। দুদকের পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন মোশাররফ হোসেন কাজল।
ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে গত ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) কমিশনের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে ডিআইজি মিজান ছাড়াও তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
মাহমুদুল হাসান ২০১৭ সালের ২৬ আগস্ট উপ-পরিদর্শক হিসেবে যোগ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি মিজানুর রহমান তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২৪ লাখ ২১ হাজার ২২৫ টাকায় শুলশান-১ এর পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে ২১১ বর্গফুট আয়তনের একটি দোকান বরাদ্দ গ্রহণ করেন।
মিজানুর রহমান নিজে নমিনী হয়ে তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর একটি ব্যাংকে এফডিআর অ্যাকাউন্ট করে ৩০ লাখ টাকা জমা করেন। তবে দুদকের অনুসন্ধান চালু হওয়ার পরে সে টাকা ভাঙিয়ে সুদে আসলে ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ৫৭ টাকা তুলে ফেলেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মিজানুর রহমান তার স্ত্রী রত্না রহমান কাকরাইলে ১৭৭৬ বর্গফুটের একটি বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট ক্রয়ে ২০১১ সালে চুক্তিনামা করে বিভিন্ন সময় ১ কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ টাকা নির্মাণ কোম্পানিকে পরিশোধ করেন। পরে ২০১৬ সালে ফ্ল্যাটটি ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে দলিল রেজিস্ট্রি করেন।
এ মামলায় গত ১ জুলাই হাইকোর্টে জামিন আবেদনের পর আদালত তাকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। সে অনুসার ৪ জুলাই নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চায় মাহমুদুল। তার আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান আদালত।