‘বাংলাদেশের অগ্রগতিতে শেখ হাসিনার অবদান অগ্রগণ্য’
২৭ জুলাই ২০১৯ ২০:৪৪
ঢাকা: বাংলাদেশের অগ্রগতির পেছনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান অগ্রগণ্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (বি. চৌধুরী)।
শনিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ হলরুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
বি. চৌধুরী বলেন, ’বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে চিরস্থায়ী জায়গা নিয়েছে। পরিষ্কার কথা প্রথমেই বলে নিই- এই বাংলাদেশকে কখনও মুছতে পারবে না কেউ, কোনো দিনও না, কখনও না, ফরগেট ইট। আপনাদের কারও মনে যদি বিন্দুমাত্র শঙ্কা থাকে— ভুলে যান।’
তিনি বলেন, ‘ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে রঞ্জিত এ মানচিত্র। একাত্তরে আমাদের নারী, পুরুষ, রাজানীতি সচেতন কৃষক-শ্রমিক— কেউ বসে থাকেনি। এই লড়াকু জাতিকে কেউ কিছু করতে পারবে না- সে যেই হোক। সুতরাং ওটা (ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার নালিশ) কোনো চিন্তার কথা নয়। কিন্তু চিন্তা অন্য জায়গায়।’
আজকের বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে উজ্জ্বলতম স্থান দখল করে আছে উল্লেখ করে বি. চৌধুরী বলেন, ‘সারাপৃথিবী আজকে অবাক তাকিয়ে রয়। আমেরিকার সেদিনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিলেন ‘বাংলাদেশ বোটমলেস বাসকেট’। আজ তিনি লজ্জা পান। কারণ, প্রমাণ হয়েছে, তিনি ভুল বলেছিলেন।’
‘আজকের বাংলাদেশে যে অগ্রগতি, এর পেছনে অবশ্যই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান অগ্রগণ্য। দেশের জন্য তিনি শ্রম দিয়েছেন, মেধা দিয়েছেন। তারপর বাংলাদেশ এ পর্যায়ে এসেছে’— বলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এই মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘যে বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি ছিল, সেই বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে যেমনটা এগিয়েছে, তেমিন উন্নয়নের দিক দিয়ে সারাপৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছি। সেজন্য আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। এর বিরুদ্ধে লোক থাকবে। হিংসা করবে, ষড়যন্ত্র করবে— এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। যে গাছে আম হয়, সে গাছে ঢিল ছুড়বে, না বটগাছে ঢিল ছুড়বে?
তবে এগুলো রুখতে হবে, শক্ত হাতে রুখতে হবে। সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রুখতে হবে। আজকে বলা হচ্ছে, পদ্মা সেতুর জন্য বাচ্চাদের কল্লা লাগবে—কী সাংঘাতিক কথা। এই কাজটা কে করল? কেন করল? সামাজিক অপরাধ বেড়ে গেল কেন? খুন-ধর্ষণ-হত্যা বেড়ে গেল কেন? এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে’—বলেন বি. চৌধুরী।
প্রিয়া সাহার নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘উচ্চপদস্থ একজন সরকারি কর্মচারীরর স্ত্রী, এক মহিলা দেশের বাইরে গিয়ে এমন সব কথাবার্তা বললেন, যাতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটা ধর্মীয় আবেগ সৃষ্টি হয়। এটা অত্যন্ত অন্যায়, গুরুতর অন্যায়। আমরা মনে করি, যারা এ ধরনের কাজে লিপ্ত তারা দেশের বন্ধু নয়। এদের ব্যাপারে কোনো আপস হবে না। আবার বেশি গুরুত্বও দেওয়া যাবে না।’
বি চৌধুরী বলেন, ‘‘তার নামও উল্লেখ করার দরকার নেই। নাম উল্লেখ করলে ওই মহিলার গুরুত্ব বেড়ে যাবে। যে দেশ আমাদের অন্যদাত্রী, যে দেশের আলো-বাতাসে আমরা বেড়ে উঠেছি, সেই দেশের বিরুদ্ধে যে অবস্থান নেয়, তার নামও উল্লেখ করা উচিত না— যেমন আমি তার নাম উচ্চারণ করিনি। শুধু বলেছি, ‘একজন মহিলা’।’’
বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক মন্ত্রী ও ছাত্রনেতা গোলাম সরোয়ার টিপু প্রমুখ।