Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বালিশ দুর্নীতিতে বিজ্ঞানীরা নেই, মন্ত্রীর বক্তব্য মিথ্যা’


২৫ জুলাই ২০১৯ ২০:০৮ | আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৯ ২০:০৯

ঢাকা: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বালিশ দুর্নীতির সঙ্গে বিজ্ঞানীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রটির ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ডক্টর মো. জায়েদুল হাসান। তিনি বলেন, “গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর বক্তব্যে অনুসারে, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ৩৪ জন কর্মকর্তার মধ্যে চারজন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের’। মন্ত্রীর এই বক্তব্য সম্পূর্ণ অসত্য, ভিত্তিহীন এবং কল্পনাপ্রসূত।”

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার বিকালে (২৫ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের কার্যালয়ে কমিশনের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

সভায় ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক জায়েদুল হাসান বলেন, ‘গত দুইদিনে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক সংবাদে বলা হয় রূপপুর পরমাণু শক্তি কমিশনের বালিশ দুর্নীতির সঙ্গে পরমাণু কমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত। আমরা এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে দেখেছি। চুক্তি অনুযায়ী পরমাণু শক্তি কমিশনের কোনো কর্মকর্তার দুর্নীতি করার সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘পরমাণু শক্তি কমিশন একটি বিশেষায়িত সংস্থা, আমরা আরেকটি বিশেষায়িত সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছি কাজটি করে দেয়ার জন্য। এখানে তারা টাকা খরচ করবে, তারা অডিট নিষ্পক্তি করবে, আমরা পরবর্তী পর্যায়ে শুধু কাজটি বুঝে নেব। ফলে কাজ করার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের চেইনে আমাদের সম্পৃক্ততা ছিল না।’

ডক্টর মো. জাহেদুল হাসান বলেন, ‘এটা অন্যায়ভাবে আমাদের ওপর চাপানো হয়েছে। আমরা মনে করি, প্রকল্পের ক্ষেত্রেও এটা এক ধরনের ষড়যন্ত্র। এই দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পকে বির্তকিত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে এটা করা হয়েছে।’

ডকুমেন্ট অনুযায়ী এই দুর্নীতির দায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা কোন ধরনের দালিলিক প্রমাণ ছাড়া আমাদের ওপর অন্যায়ভাবে এটা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এর ফলে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের মতো একটা বড় প্রকল্প চালানো আমাদের জন্য অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পারমাণবিক শক্তি কমিশন শুধুমাত্র নিউক্লিয়ার পাওয়ার বিলেটেড যে মূল প্রকল্প রয়েছে তা মনিটর করার ক্ষেত্রে ব্যস্ত। আর এই ক্ষেত্রে আমাদের দায় দেওয়া হলে মূল প্রকল্প বাস্তবায়নে অন্তরায় হিসাবে দেখা দেবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘মূলত কাজটি মনিটরিংয়ের দায়িত্ব হলো পিডাব্লিউডির। ফলে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হয়ে থাকলে সব দায় তাদের। কারণ কাজটি পিডাব্লিউডিকে দেওয়ার পর আমাদের মনিটরিংয়ের কোনো সুযোগ নেই।’

এসময় পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর মো. মাজিবুর রহমান, ডক্টর সৈয়দ মোহাম্মদ হোসাইন, অলক চক্রবর্তীসহ পরমাণু শক্তি কমিশনের সব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় পরমাণু শক্তি কমিশনের বিভিন্ন সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরাও অংশ নেন।

সারাবাংলা/জিএস/এমও

টপ নিউজ বালিশ দুর্নীতি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রূপপুর প্রকল্প

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর