দিনেও মশারি টানানোর পরামর্শ বিএসএমএমইউ উপ-উপাচার্যের
২৩ জুলাই ২০১৯ ১৬:২৩ | আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৯ ১৭:৪২
ঢাকা: ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে সবাইকে দিনের বেলাতেও মশারি টানানোর পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপ-উপাচার্য ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার।
তিনি বলেন, ‘সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা রাতে যেমন মশারি ব্যবহার করি তেমনি দিনেও মশারি ব্যবহার করতে হবে। কারণ এডিস মশা সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায়।’
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) ডেঙ্গু বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি।
শহীদুল্লাহ শিকদার বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসকের তত্ত্বাবধায়নে থাকলে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর শঙ্কা নেই। অন্য কোনো শারীরিক জটিলতা না থাকলে শুধুমাত্র ডেঙ্গুর কারণে কেউ মারা যাবেন না।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে অনেকে মারা গেছেন, এটা দুঃখজনক। তবে জ্বর হলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে মৃত্যুঝুঁকি কমে আসে। জ্বর হলেই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। ডেঙ্গু হয়েছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। তাছাড়া সমস্যা জটিল আকার ধারণ করতে পারে। বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ৪৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছিলেন, তারা সবাই সুস্থ আছেন। ১৩ জন এখনো চিকিৎসাধীন।
ডেঙ্গুর রোগীদের জন্য হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আলাদা কর্নার করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের নতুন জরুরি বিভাগ হচ্ছে, সেখানে ডেঙ্গুর জন্য আলাদা কর্ণার থাকবে। দেশে শিশু মৃত্যুর হার কমেছে, মাতৃ মৃত্যুহার কমেছে, তাহলে ডেঙ্গুর জন্য মানুষ মারা যাবে কেন? ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে, আমরা সেই নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করছি।
ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আইসিইউ-এর প্রয়োজন পড়লে সেটাও যথাসময়ে দেওয়া হবে বলে জানান শহীদুল্লাহ সিকদার।
ডেঙ্গু বিষয়ে মেডিসিন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ঝিলন মিয়া সরকার বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে চিকিৎসার তুলনায় শুশ্রূষা বাড়াতে হবে। জ্বর যতক্ষণ থাকবে রোগী ততক্ষণ নিরাপদ, কারণ ডেঙ্গুর পরবর্তী জটিলতা শুরু হয় জ্বর ছেড়ে দেওয়ার পরে। এজন্য জ্বর হলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে ট্রিটমেন্ট নিতে হবে। একইসঙ্গে ঘরোয়াভাবে শুশ্রূষা চালিয়ে যেতে হবে।
বিএসএমএমইউ-এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব বলেন, ডেঙ্গু হলে রোগী মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারেন। সময় মতো চিকিৎসা সেবা নিলে ডেঙ্গুতে মৃত্যুঝুঁকি থাকে না।
সারাবাংলা/টিএস/জেএএম/এটি