পুঁজিবাজারে সূচক আড়াই বছরে সর্বনিম্ন
১৫ জুলাই ২০১৯ ১৬:৫৭
ঢাকা: পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন হয়েছে। সোমবার (১৫ জুলাই) টানা সপ্তম দিনের মতো দেশের দুই পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক আগের দিনের চেয়ে ৮৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯১ পয়েন্টে নেমে আসে। এটি আগের আড়াই বছরের মধ্যে সূচকের সর্বনিম্ন অবস্থান। এর আগে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৫ হাজার ৮৩ পয়েন্ট। ওইদিনের পর আজ (১৫ জুলাই) সূচক সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে।
এদিকে, সূচকের অব্যাহত পতনের প্রতিবাদে সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এই সময় তারা পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান। তারা বলেন, পুঁজিবাজার বর্তমানে স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। সর্বশেষ সাত কার্য দিবসের মধ্যে সাত দিনই সূচকের পতন হয়েছে। তাদের মতে, পুঁজিবাজারে উথান পতন হতে পারে কিন্তু টানা সাতদিন দরপতন এটা অস্বাভাবিক।
এ ব্যাপারে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, এবারের বাজেটে বাস্তবে পুঁজিবাজারে জন্য কোনো প্রণোদনা ছিল না। ফলে বাজেটের পর পুঁজিবাজার স্বাভাবিক হবে তার কোনো কারণ নেই।
তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারে দরপতনের সবচেয়ে বড় কারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দিয়েছে। আর এই অভাবের প্রধান কারণ হলো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিপর্যয়। বিশেষ করে পিপলস লিজিংয়ের অবসায়নের খবরে পুরো আর্থিক খাতে অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে।
এদিকে, সোমবার ডিএসইতে মোট ৩৫২টি কোম্পানির ১০ কোটি ৯৪ লাখ ৬৮ হাজার ৬৪৯ টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৩৭টির, কমেছে ৩০৩ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির দাম। দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৮৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯১ পয়েন্টে নেমে আসে। ডিএস-৩০ মূল্য সূচক ৩৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮১৮ পয়েন্ট, ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ২৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৬৬ পয়েন্টে নেমে আসে। এদিন ডিএসইতে ৩০৬ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
অন্যদিকে, সোমবার অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৭৮টি কোম্পানির ৬২ লাখ ২৭ হাজার ১৭৫টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৪০টির, কমেছে ২২০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির কোম্পানির শেয়ারের দাম। দিনশেষে সিএসইতে ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। আগেরদিন রোববার সিএসইতে কেনাবেচা হয়েছিল ১১ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৬২ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৬১৯ পয়েন্ট নেমে আসে। আগের দিন সিএসইর সূচক ছিল ১৫ হাজার ৮৮১ পয়েন্ট।
সারাবাংলা/জিএস/জেএএম