Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পিপলস লিজিংয়ের অবসায়ক বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিএম


১৫ জুলাই ২০১৯ ১৪:২৭ | আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৯ ২২:১৬

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান খান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (পিএলএফসিএল) অবসায়ক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের জিএম হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

রোববার (১৪ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এছাড়াও আদালত পিপলস লিজিংয়ের সাবেক পরিচালকদের ব্যাংক হিসাব জব্দ ও তাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিএম মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান খানকে পিপলস লিজিংয়ের অবসায়ক (লিকুইডেটর) হিসাবে আদালত নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি শিগগিরই অবসায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেবেন এবং পিপলস লিজিংয়ের কার্যালয়ে অফিস করবেন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে সিরাজুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী অবসায়ক কাজ করবে। এমন হতে পারে পিপলস লিজিং যে ব্যালেন্সশিট দেখিয়েছে তা যাচাই করতে পিপলসের যে অ্যাসেট লায়াবেলিটিজ রয়েছে তা নিরীক্ষা হতে পারে। নিরীক্ষার পর দায় দেনা পরিশোধ করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, গত ২১ মে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থমন্ত্রণালয়ে পিপলস লিজিংয়ের অবসায়নের আবেদন করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৬ জুন অর্থমন্ত্রণালয় তা অনুমোদন দেয়। গত ১০ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক অবসায়নের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক পিপলস লিজিং থেকে টাকা উত্তোলনের বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করে। আর ১৪ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক আদালতে অবসায়ক নিয়োগ দেওয়ার জন্য আবেদন করলে আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিএম মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান খানকে সাময়িকভাবে অবসায়ক নিয়োগ দেন।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর পিপলস লিজিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে অনুমোদন পায়। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্য্যালয় রাজধানী মতিঝিলের সিটি সেন্টারে। এছাড়া গুলশান এবং চট্টগ্রামে দুইটি শাখা কার্য্যালয় রয়েছে। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। মোট শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৬৭.৮৪ শতাংশ, উদ্যোক্তা পরিচালদের ২৩.২১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ৮.৭৬ শতাংশ এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সারাবাংলা/জিএস/জেএএম

টপ নিউজ পিপলস লিজিং অবসায়ন পিপলসে আটকে আছে আমানত