Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দুধের ১০ নমুনার ১০টিতেই অ্যান্টিবায়োটিক


১৩ জুলাই ২০১৯ ১৩:৩২ | আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৯ ১৫:০১

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের পরীক্ষায় ফের পাস্তুরিত তরল দুধে ক্ষতিকারক অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি মিলেছে। এবার দ্বিতীয় দফায় দুধের ১০টি নমুনার ১০টিতেই ক্ষতিকারক অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে।

শনিবার (১৩ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান ঢাবির বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের সদ্য সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।

প্রাণ, মিল্কভিটা, আড়ংদুধসহ পাঁচটি কোম্পানির ৭টি পাস্তুরিত প্যাকেটজাত দুধের নমুনা এবং খোলা জায়গা থেকে নেওয়া আরও তিনটি নমুনার ওপর পরীক্ষা চালান এই অধ্যাপক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত সপ্তাহে আমরা এই পরীক্ষাটি আবার সম্পন্ন করেছি। প্রথমবারের মতো এবারও আগের ৫টি কোম্পানির পাস্তুরিত প্যাকেটজাত দুধের একই জায়গা থেকে সংগৃহীত ৭টি নমুনা এবং একই জায়গা থেকে খোলা দুধের সংগৃহীত ৩টি নমুনা সংগ্রহ করি। এরপর অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পরীক্ষার জন্য একই নিয়মে একই উন্নত ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার পর দেখা যায়, ফলাফল আগের মতোই উদ্বেগজনক। এবারও সবগুলো নমুনাতেই অ্যান্টিবায়োটিক শনাক্ত করা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পরীক্ষায় যে অ্যান্টিবায়োটিকগুলো ধরা পড়ে সেগুলা হলো- অক্সিটেট্রাসাইক্লিন, এনরোফ্লক্সাসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং লিভোফ্লক্সাসিন। এর মধ্যে আগের বারে ছিল না এমন অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ২টি। সেগুলো হলো- অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ও এনরোফ্লক্সাসিন। ১০টি নমুনার মধ্যে ৩টিতে ৪ ধরনের, ৬টিতে ৩ ধরনের এবং ১টিতে ২ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে।

এর আগেও প্রথম দফায় পরীক্ষায় দুধে তিন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৫ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ফার্মেসি লেকচার থিয়েটারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দুধ ও অন্যান্য খাদ্যপণ্য পরীক্ষার রিপোর্ট উপস্থাপনের সময় জানিয়েছিলাম যে, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার অনুভব থেকেই আমাদের সীমিত সামর্থ্যে আমরা এই পরীক্ষাটি মাঝে মাঝে করার চেষ্টা করব।

সারাবাংলা/পিটিএম

অ্যান্টিবায়োটিক দুধ দুধের নমুন প্রাণ মিল্কভিটা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর