বামদের হরতাল: পল্টনে গাড়ি ভাংচুর
৭ জুলাই ২০১৯ ১০:১০ | আপডেট: ৭ জুলাই ২০১৯ ১০:২০
ঢাকা: গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা আধাবেলা হরতালের প্রথম তিন ঘণ্টা নিরুত্তাপ ও শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হলেও সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে পল্টন মোড়ে গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
হরতালের সমর্থনে রোববার (৭ জুলাই) ভোর ছয়টা থেকেই রাজধানীর পুরানা পল্টন ও শাহবাগ মোড় এলাকায় মিছিল-পিকেটিং করছিল গণতান্ত্রিক বাম জোটের নেতাকর্মীরা।
সকাল ৭ টায় রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়, মুক্তাঙ্গন ও প্রেসক্লাব এলাকায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের শরিক দল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করছেন।
এ সময় তাদের সঙ্গে যোগ দেন হরতালে নৈতিক সমর্থন দেওয়া সোশ্যালিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ (এসপিবি), ক্ষমতাসীন জোটের শরিক দল বাংলাদেশ ন্যাপ ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
আধাবেলার এই হরতালে প্রথম তিন ঘণ্টা পল্টন এলাকায় সেই অর্থে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। হরতাল আহ্বানকারীদে জোরদার পিকেটিংয়ের মধ্যেও পল্টন এলাকায় যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। পল্টন মোড়ে সড়কের মাঝখানে বৃত্তাকারে দাঁড়িয়ে স্লোগান-বক্তৃতার সময় যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য থেমে গেলেও সিনিয়র বাম নেতাদের হস্তক্ষেপে তা স্বাভাবিক হয়।
কিন্তু সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উত্তেজিত কয়েকজন কর্মী লাঠি দিয়ে তিন/চারটি বাসের গ্লাস ভেঙে দেন। এতে হঠাৎ করেই পল্টন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ দুইজনকে আটক করে। পরে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্সের হস্তক্ষেপে আটক দুইজনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
পল্টন থানার উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘কয়েকটি গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় সামিয়কি উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দুজনকে আটক করেছিলাম। আবার ছেড়ে দিয়েছি। জনগণের জান-মাল রক্ষায় আমরা সতর্ক রয়েছি। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হলে আমরা তা মোকাবিলা করব।’
এর আগে সকাল সাড়ে সাতটায় পিকেটিংয়ের সময় একজন মোটরসাইকেল আরোহীকে বামদলের কর্মী-সমর্থকরা হেনস্তা করার চেষ্টা করেন। পরে সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মিট-মাট হয়। এ সময় একজন পরিবহন শ্রমিককে বাস থেকে টেনে নামাতে গেলে হরতালকারীদেরই আরেকটি অংশ কর্মী-সমর্থকদের এ কাজ থেকে ফিরেয়ে আনে।
সারাবাংলা/ইউজে/এজেড/পিটিএম