ডিআইজি মিজানের ভাগ্নে কারাগারে
৪ জুলাই ২০১৯ ১৩:৪৬ | আপডেট: ৪ জুলাই ২০১৯ ১৫:১৬
ঢাকা: দুর্নীতিতে সহযোগিতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক মিজানুর রহমানের ভাগ্নে এসআই মাহমুদুল হাসানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকালে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
এদিন মাহমুদুল হাসান আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে এ জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হীরু শুনানিতে বলেন, দুদকের পক্ষ থেকে আসামির হিসাব বিবরণের জন্য কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। নো নোটিশ, নো কেস, নো চার্জ। আসামির বিরুদ্ধে সু-নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই, এজাহারে তা উল্লেখ নেই। আসামি যে দোকান নিয়েছে সেই বিষয়ে এজাহারে উল্লেখ নেই।
শুনানিতে আরও বলেন, আসামির নামে যে এফডিআর খোলা হয়েছে, সেখানে তার কোনো স্বাক্ষর নেই। আসামি কোন প্রকার এডিআরে স্বাক্ষর করেননি। এরপর বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, আপনারা কত টাকা বেতন পান, প্রশ্ন জবাবে আগামি বলেন, ১৬৬০০ টাকা বেসিকসহ মোট ২০ হাজার টাকার মত পাই। তখন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, মাহমুদুল হাসান মাত্র ২ বছর হলো এসআই পদে চাকরিতে যোগদান করেছেন। তার আগে তিনি ব্যবসা করতেন। তিনি তার সম্পদের সকল হিসাব দাখিল করেছেন। তাই, আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা জানাচ্ছি।
অপরদিকে, দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানিতে বলেন, আসামিকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। উনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি কাজে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। উনার নামে বেনামি সম্পদ লেনদেনের অভিযোগ আছে। বিধায় জামিনের বিরোধীতা জানাচ্ছি।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১ জুলাই দুদকের মামলায় বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানের ভাগ্নে এসআই মাহমুদুলকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন আদালত।
এরআগে গত ২ জুন মিজানের রহমানের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর হয়ে কারাগারে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুন ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে পুলিশের কোতোয়ালি থানার এসআই মো. মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়।
সারাবাংলা /এআই/ওএম/জেএএম