সেই শাহীনের ভ্যান উদ্ধার, গ্রেফতার ৩
১ জুলাই ২০১৯ ২২:৫২ | আপডেট: ১ জুলাই ২০১৯ ২৩:০৫
সাতক্ষীরা: কিশোর আবু শাহীনের ওপর হামলা চালিয়ে ভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রধান আসামিসহ ছিনতাই হওয়া ভ্যান ও ভ্যানের ব্যাটারি কেনার সঙ্গে জড়িত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে সাতক্ষীরা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এসময় শাহীনের ছিনতাই হওয়া ভ্যানটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) দিনভর অভিযান চালিয়ে সাতক্ষীরার কলারোয়া ও ঝাউডাঙ্গা এবং যশোর জেলার কেশবপুর থেকে ভ্যান ছিনতাইয়ে জড়িত তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ছিনতাইয়ে জড়িত প্রধান অভিযুক্ত যশোরের কেশবপুর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের বাবর আলী মোড়লের ছেলে নাঈমুল ইসলাম (২৪)। গ্রেফতার বাকি দু’জন হলেন— কলারোয়া উপজেলার আলাইপুর গ্রামের মৃত ভোলাই পাড়ের ছেলে মিস্ত্রি আরশাদ পাড় ওরফে নুনু (৬৫) ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গোবিন্দকাটি গ্রামের হামজের আলীর ছেলে বাকের আলী (৪৫)।
আরও পড়ুন- ‘ছেলেডা ভাতের থালা রাইখে গেল, আজ চারদিন সে ভাত খায় না’
সোমবার রাতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে নাঈমুল ও তার তিন সহযোগী কেশবপুর বাজার থেকে কলারোয়ায় আসার কথা বলে কিশোর শাহীনের সঙ্গে ৩৫০ টাকায় ভাড়া চুক্তি করে। পরদিন শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ১১টার দিকে ভ্যানচালক শাহীনকে নিয়ে সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া জামতলা নামক স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ব্যাপক মারধর করে ও এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মাথা ফাটিয়ে পাশের পাটক্ষেতে ফেলে রেখে ভ্যানটি নিয়ে তিন জন পালিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার জানান, নাঈমুল ও তার দুই সহযোগী সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গা বাজারের বাকের আলীর কাছে শাহীনের ভ্যানের চারটি ব্যাটারি ৬ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করে। পরে সেখান থেকে কলারোয়া উপজেলার মির্জাপুর বাজারে গিয়ে মিস্ত্রি আরশাদ পাড় ওরফে নুনুর কাছে সাত হাজার টাকায় ভ্যানটি বিক্রি করে দেয়।
আরও পড়ুন- শাহীনের জন্য সব করল ছাত্রলীগ
এ ঘটনায় কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোর্ট গ্রামের শাহীনের পিতা হায়দার আলী বাদী হয়ে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রথমে যশোরের কেশবপুর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের বাবর আলী মোড়লের ছেলে নাঈমুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। পরে তার কাছ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে ভ্যান ও ব্যাটারি ক্রেতাকে গ্রেফতার করে।
এদিকে, কিশোর শাহীন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিবিড় পরির্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। প্রধানমন্ত্রী তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শাহীনের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। সে কারণে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। তবে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলা হয়েছে। তাকে আরও কয়েকদিন তাকে আইসিইউতেই রাখা হবে।
সারাবাংলা/টিআর