আবার হবে আইওএম’র ভোট
২৬ জুন ২০১৯ ২০:৩৯ | আপডেট: ২৬ জুন ২০১৯ ২০:৪১
ঢাকা: আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) উপ-মহাপরিচালক পদের নির্বাচনে আবার নতুন করে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আইওএম’র দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ উপ-মহাপরিচালক পদে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই পদে আগামী নভেম্বরে আবার নতুন করে ভোট হতে পারে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানাচ্ছে, নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী আইওএম’র উপ-মহাপরিচালক পদে চূড়ান্ত বিজয়ের অপরিহার্য শর্ত হিসেবে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট নিশ্চিতে বুধবার জেনেভায় (২৬ জুন) হ্যাঁ, না ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত শুক্রবার জেনেভার আইওএম হেড কোয়ার্টারে এই নির্বাচনের ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পাওয়ায় বাংলাদেশের প্রার্থী পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এগিয়ে থাকেন।
আইওএমের মোট ১৪৪ সদস্যের মধ্যে বুধবারের (২৬ জুন) হ্যাঁ, না ভোটে অংশ নেয় ১৪৩ সদস্য। যার মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক পান ৮৬ ভোট। কিন্তু সংস্থাটির শর্ত হিসেবে দুই তৃতীয়াংশ ভোট নিশ্চিত করতে তার প্রয়োজন ছিল ৯৬ ভোটের। বাংলাদেশের প্রার্থী দুই তৃতীয়াংশ ভোট না পাওয়ায় এই পদের নির্বাচনে আবার ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, আইওএম’র উপ-মহাপরিচালক পদের নির্বাচনে কোনো দেশই দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন না পাওয়ায় এই পদের ভোট আবার অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের প্রার্থী পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক আবারও এই নির্বাচনে অংশ নিবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তিনি দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমতি চাইবেন। প্রধানমন্ত্রী অনুমতি দিলে তিনি আবারও ভোটে অংশ নিবেন।’
একাধিক কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, আইওএম’র উপ-মহাপরিচালক পদে জয়লাভের জন্য বাংলাদেশ, সুদান, ফিলিপাইন, আফগানিস্তান ও জর্ডানের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই পদের যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের জন্য গত শুক্রবার (২১ জুন) পর্যন্ত পঞ্চম পর্যায়ের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ১৭৩টি দেশের মধ্যে ১৪৮টি দেশ ভোট দেয়।
আইওএম’র ভোটের রেওয়াজ অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী দফায় দফায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পেলে বাকিরা ভোট থেকে সরে দাঁড়ান। এবারের ভোটে বাংলাদেশের প্রার্থী পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক সবগুলো পর্যায়ের ভোটেই সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পান। ফলে রেওয়াজ অনুযায়ী, ফিলিপাইন, আফগানিস্তান ও জর্ডানের প্রার্থীরা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় একমাত্র সুদান।
শেষ পর্যন্ত সুদানের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রত্যাহার না করায় বাংলাদেশের প্রার্থী দুই-তৃতীয়াংশ ভোট অর্জন করতে পারেনি। তাই এই পদের নির্বাচনে আবারও ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সারাবাংলা/জেআইএল/পিটিএম