বড় ধরনের মার্কিন অবরোধের মুখে ইরান
২৩ জুন ২০১৯ ০৯:১৩ | আপডেট: ২৩ জুন ২০১৯ ১১:২৩
পরমাণু বোমায় উচ্চাকাঙ্ক্ষী ইরানের ওপর আরও বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ইরানের নেতৃত্বের পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত এই চাপ অব্যাহত থাকবে।
রোববার (২৩ জুন) সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে প্রকাশিত এক খবরে এই কথা বলা হয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেঁধে দেওয়া মাত্রার চেয়ে বেশি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধের ঘোষণা দেওয়ায় ইরানের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
ট্রাম্প বলেন, আমরা ইরানের ওপর অতিরিক্ত অবরোধ আরোপ করতে চলেছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া হবে খুব দ্রুত।
ট্রাম্প আরও জানান, ইরান যদি সমৃদ্ধ কোনো জাতি হতে চায় তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু তারা আগামী পাঁচ ছয় বছরেও পারমাণবিক বোমার নাগাল পাবে না।
‘লেট’স মেক ইরান গ্রেট এগেইন!’ ট্রাম্প তার নির্বাচনি ক্যাম্পেইনের স্লোগান ব্যবহার করে ইরানকে খোঁচা দেন।
২০১৫ সালে ছয়টি বৃহৎ শক্তি, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তি হয়েছিল। চুক্তি অনুসারে এই দেশগুলো প্রতিবছর ইরানকে ১১০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক সুবিধা দিতে রাজি হয়।
বিনিময়ে ইরান কোনো ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র বানাবে না এবং বাড়তি ইউরেনিয়াম বিক্রি করে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু ২০০৮ সালের ৮ মে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ইরানকে ‘এখনো হুমকি’ উল্লেখ করে ওই চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন ও অবরোধ আরোপ করেন। তখন পরমাণু চুক্তি বিষয়ে দেশগুলোর মধ্যে নতুন সংকট শুরু হয়।
গত মে মাসে ইরান জানায়, প্রতিশ্রুত অর্থ আদায়ের জন্য রাশিয়া, চীন ও ইউরোপীয় দেশগুলোকে ৬০ দিন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তারা কথা রাখতে না পারলে দেশটি ইউরেনিয়াম উৎপাদন বাড়াবে। এ বিষয়ে চুক্তির অন্য সদস্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, চীনকে ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
সারাবাংলা/এনএইচ