বিআরটিসিতে উত্তেজনা, ডিপো বন্ধ করছেন শ্রমিকরা
২২ জুন ২০১৯ ১৭:৫৬ | আপডেট: ২২ জুন ২০১৯ ১৯:৩০
ঢাকা: বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) শ্রমিকরা। বকেয়া বেতনের দাবিতে শনিবার (২২ জুন) সকালে নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপো ঘেরাও করেন শত শত শ্রমিক। এ সময় তারা বকেয়া ৭ মাসের বেতন দাবি করেন।
শ্রমিকরা জানান, জোয়ারসাহারা ডিপোতে গত ১০ মাস বেতন পাননি শ্রমিকরা। এক বছর বেতন পাননি গাবতলীর চালক-শ্রমিকরা। একই অবস্থা মতিঝিল, মোহাম্মদপুর ও নারায়াণগঞ্জ ডিপোতে। ভারত থেকে নতুন বাস আসার পরও তাদের বেতন হচ্ছে না।
বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া বলেন, ঈদুল ফিতরে বেতন-বোনাস দিতে গিয়ে শ্রমিকদের বেতন বকেয়া পড়েছে। সকালে নারায়ণগঞ্জ ডিপো বন্ধ থাকলেও বিকেলে ডিপো থেকে বাস ছেড়েছে।
তবে শ্রমিকদের অভিযোগ, বিআরটিসি চেয়ারম্যানের দুর্নীতির কারণেই আজকের এই অবস্থা। তারা বলেন, চেয়ারম্যান ডিপো থেকে মাসিক ও সাপ্তাহিক টাকা তুলে নেন। যে কারণে বিআরটিসির বাস রাস্তায় চললেও মাস শেষে বেতন হচ্ছে না।
তারা আরও অভিযোগ করেন, এর আগে বকেয়া বেতনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করায় চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদ ভূঁইয়ার নির্দেশে ৫০ জন শ্রমিককে ঢাকার বাহিরে বদলি করা হয়। পোস্টার ছাপানোর অপরাধে এক শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
চাকরিচ্যুত সেই চালক মফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আওয়ামীপন্থী শ্রমিক সংগঠনে যুক্ত থাকায় বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি যুক্ত করে আমি পোস্টার ছাপিয়েছিলাম। এই অপরাধে চেয়ারম্যান আমাকে চাকরিচ্যুত করেছেন।’
শ্রমিকরা জানান, সম্প্রতি বিআরটিসি চেয়ারম্যানের দুর্নীতির বিবরণ তুলে ধরে পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে লিখিত অভিযোগ জমা দেন তারা।
বিআরটিসি সূত্র জানায়, ঢাকার মতিঝিল ডিপোতে ৫ মাস, মোহাম্মাদপুরে ৬ মাস, গাবতলীতে ১২ মাস, জোয়ারসাহারায় ১০ মাস, গাজীপুরে ৭ মাস ও মিরপুর ডিপোতে ৪ মাস বেতন বকেয়া পড়ে আছে।
তবে বেতন বকেয়া পড়ার অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন বিআরটিসি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, গত ঈদে বোনাস দেওয়ায় বেতন অনিয়মিত হয়েছে। নতুন বাস ফ্লিটে যোগ হয়েছে। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।
শ্রমিক ছাঁটাই ও বদলির বিষয়ে তিনি বলেন, যেসব চালক-শ্রমিকরা আন্দোলনের নামে রাস্তা বন্ধ করেছে তাদেরকে বদলি করা হয়েছে। একজন চালক হয়ে মন্ত্রীর ছবি দিয়ে পোস্টার বের করায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এসএ/এটি