Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সেতু ভাঙায় সাত ঘণ্টায় সাত কিলোমিটার, যাচ্ছে জরুরি ফেরি


২২ জুন ২০১৯ ১২:২১ | আপডেট: ২২ জুন ২০১৯ ১২:৩৮

ঢাকা: ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যানজট নিরসনে জরুরি ফেরি পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর থেকে ফেরি পাঠানো হচ্ছে। সেতুটি চালু করতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে।

শনিবার (২২ জুন) সকালে সারাবাংলাকে তিনি এ কথা জানান। গত ১৮ জুন শাহবাজপুরে ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়কের ওপর নির্মিত সেতুর ফুটপাত এবং রেলিং ভেঙে যায়। এরপর থেকে ভারি ও মাঝারি যান যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। বিকল্প সড়কে দূরত্ব বেশি হওয়ায় দূরপাল্লার বাসগুলো বন্ধ রেখেছিল পরিবহন কোম্পানিগুলো।

বিজ্ঞাপন

গত রাতে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে কিছু দূরপাল্লার বাস ছেড়ে এসেছে। তবে ১৫ ঘণ্টায় পৌঁছাতে পারেনি বাসগুলো।

বিকল্প হিসেবে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই-হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ মহাসড়ক ব্যবহার করতে অনুরোধ জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর।

মূল সড়কে ঢাকা থেকে সিলেট যেতে সময় লাগে সাড়ে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। বিকল্প এই পথে সময় লাগছে প্রায় ১৭ ঘণ্টা। গত রাত ১১টায় সিলেট থেকে রওনা দিয়েছেন এহসানুল হক জসিম। সারাবাংলাকে মোবাইল ফোনে তিনি বলেন, এখন আমরা আছি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজয়নগরে। সাত ঘণ্টায় বাস এসেছে সাত কিলোমিটার।

সিলেট থেকে ইউনিক পরিবহনের বাস ছেড়েছিল শুক্রবার রাত ১১টায়। শনিবার সকাল ৯টায় বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে পৌঁছেছে। আগে যেখানে সময় লাগতো ৩ ঘণ্টা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয় নগরে এক ঘণ্টায় বাস চলছে ১ কিলোমিটার।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান সারাবাংলাকে বলেন, ‘যে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে, সেই রুটটা কমন না। দীর্ঘ যানজট লেগে আছে। ব্রিজ ঠিক হওয়ার আগে এই পরিস্থিতি উত্তরণের উপায় নেই।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রুট থেকে হাজার হাজার গাড়ি এসে ঢুকে যাচ্ছে ফিডার রুটে। যত ট্রাফিক পুলিশ ছিল তাদের মোতায়েন করেও পারছি না। গাড়ির চাপে সড়কের বিভিন্ন জায়গা দেবে যাচ্ছে। যে কারণে গাড়ির গতি আরও কমে গেছে।’

‘হাইওয়ে সড়কের একটি ব্রিজ কিভাবে ভেঙে গেল সেটা আমরা বুঝতে পারছি না। হাইওয়ে ট্রাফিক ফিডার রোডে ঢুকে যাওয়ায় এখন কাজ করা ডিফিকাল্ট হয়ে পড়েছে’, বলেন আনোয়ার হোসেন খান।

যাত্রী ও সংশ্লিষ্টরা এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে দুষছেন। তারা বলছেন, এই মন্ত্রণালয়ের অধীনে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের সড়কটি দেখভালের দায়িত্ব ছিল। দীর্ঘদিন ঝুঁকিপূর্ণ থাকার পরও সেতুটি মেরামত করা হয়নি। এ সময় তারা বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ দেওয়ার দাবিও জানান।

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সেতু মেরামত করতে জাপান থেকে বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী আনা হয়েছিল। তারা বলেছিল এত দ্রুত এটি ভাঙবে না।’

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার আমিনুল হক রিপন জানান, ট্রেনে সিলেটগামী যাত্রী চাপ অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। কোনো সিট খালি থাকছে না। শত শত যাত্রী স্টান্ডিং টিকিটে যাচ্ছেন।

সারাবাংলা/এসএ/এটি

টপ নিউজ যানজট সেতু

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর