ড. সায়েম ফয়সলের অর্থনৈতিক গবেষণাপত্র প্রকাশ
১৮ জুন ২০১৯ ১০:৪৬
ঢাকা: জাকের পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সলের ছেলে ড. সায়েম আমীর ফয়সলের অর্থনৈতিক গবেষণা পত্রের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ওই গবেষণাপত্রের ওপর আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়।
ড. সায়েম আমীর ফয়সলের লেখা ‘দ্যা রিপারকেশন্স অব ফিনানশিয়াল ইন্ট্রিগ্রেশন অব মাইক্রোইকোনমিক পারফরমেন্স, পোভার্টি, অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল ফ্রাজাইলিটি ইন ভেডেলপিং ইকোনমিকস: হাউ মাচ ইজ টু মাচ?’ নামের ওই গবেষণাপত্রে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র্য, বৈষম্য ও আর্থিক একত্রীকরণের প্রভাব পর্যালোচনা করা হয়েছে।
আর্থিক একত্রীকরণের প্রভাবে এখানে ১৯০৭ থেকে ২০১৩ সময়কালে ১৭৫টি দেশের প্যানেল ডাটাসেট ব্যবহৃত হয়েছে। জাকের পার্টির দাবি, পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সলের একমাত্র ছেলে ড. সায়েম অর্থনীতিতে সর্বকনিষ্ঠ পিএইচডি ডিগ্রীধারী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ড. সায়েম আমীর ফয়সল বলেন, ‘আমার সমস্ত অর্জন আমি বাংলাদেশের মানুষকে উৎসর্গ করছি। এখন দেশের প্রবৃদ্ধির হার ৮.২ শতাংশ। এটা প্রশংসনীয়। জাতি হিসেবে আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। তবে শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান কিভাবে করে দিতে পারবো তা ভাবতে হবে। যুবকদের বেকারত্বের অভিশাপ দূর করতে হবে। বাজেটে স্টার্ট আপে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, এটা প্রশংসনীয়। কিন্তু ১৬ কোটি মানুষের দেশে যুবকদের জন্য এটি পর্যাপ্ত নয়।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাড়িঘর করে কোনো লাভ নেই, যদি তা না টেকে। সব কিছু উজাড় করে বড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করলে তা টিকবে না। অর্থনৈতিক বৈষম্য হলে কি হয়, আপনারা দেখেছেন। পাকিস্তান টিকে থাকেনি। আমরা লুট করে খেলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কিছু থাকবে না। বেশি বেশি সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করে অধিক ফসল উৎপাদন করলে আজ থেকে ৪০ বছর পর ওই মাটিতে কিছু ফলবে না।’
সভাপতির বক্তব্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ ড. সায়েমকে নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে ক্লাস নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাকের পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সল, ফারাহ আমীর ফয়সলসহ পার্টির নেতাকর্মীরা।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও