উ. কোরিয়ার মাঠে-ঘাটে, নদীর পাশে সর্বত্রই জল্লাদখানা!
১১ জুন ২০১৯ ১৪:০৪ | আপডেট: ১১ জুন ২০১৯ ১৪:১৩
দক্ষিণ কোরিয়ার এনজিও দ্য ট্র্যানজেশনাল জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপ দাবি করেছে, তারা উত্তর কোরিয়ার ৩১৮টি স্থান চিহ্নিত করতে পেরেছে যেখানে জনসম্মুখে ‘দোষী’দের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। সেখানে গরু চুরি থেকে শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়ার টেলিভিশন চ্যানেল দেখা সবই শাস্তির কারণ। জল্লাদখানাগুলো রয়েছে নদী কিংবা ফসলি জমির পাশেই অথবা বাজার, স্কুল, খেলার মাঠের কাছে। খবর বিবিসির।
মঙ্গলবার (১১ জুন) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনটি চার বছর সময় নিয়ে তৈরি করা। এটি প্রস্তুত করতে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা ৬১০ জনের।
রিপোর্টে বলা হয়, এমনকি ‘অপরাধের’ শাস্তি হিসেবে বাচ্চাদেরও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যদের বাধ্য করা হয় তা দেখতে। এছাড়া, উত্তর কোরিয়ায় রয়েছে অনেক লেবার ক্যাম্প। রাজনৈতিক কারণে বন্দি এসব মানুষদের বাধ্য করা হয় কঠোর শারীরিক পরিশ্রম করতে।
পালিয়ে আসা একজন জানান, তাদের ৮০ জনকে তিন নারীকে হত্যার দৃশ্য দেখতে হয়েছে। ওই নারীরা চীনে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করছিল। তখন নিরাপত্তারক্ষীরা সবাইকে উদ্দেশ করে বলেছে, এমন পরিণতি তোমাদেরও ঘটতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের নারকীয় শাস্তি দেওয়া হয় সবাইকে ভয় দেখানোর জন্য। কিম শাসনতন্ত্রের বিরুদ্ধে কেউ যাতে কথা বলার সাহস না পায়।
সারাবাংলা/এনএইচ