খুশির ঈদ আজ
৫ জুন ২০১৯ ০৭:৫৩ | আপডেট: ৫ জুন ২০১৯ ১০:২৫
ঢাকা: এক মাস সিয়াম সাধনার পর খুশির বার্তা নিয়ে মুসলিম উম্মার ঘরে আনন্দের ঝর্ণাধারায় এসেছে ঈদ। আকাশে-বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে সেই সুর-লহরি, ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’।
গতকাল মঙ্গলবার (৪ জুন) শাওয়ালের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আজ শনিবার (৫ জুন) সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ উল ফিতর।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলের নেতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে দেশবাসীর সুখ-সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করেছেন। পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহ’র ঐক্য, বিশ্বভ্রাতৃত্ব, সুখ-সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করেছেন।
বুধবারই ঈদ, দ্বিতীয় বৈঠকে ঘোষণা
প্রধানমন্ত্রীও তার বাণীতে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান এবং পরস্পরের সঙ্গে মিলে-মিশে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানান।
এরইমধ্যে নাড়ির টানে ঢাকা ছেড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। ধীর গতির কারণে দুর্ভোগ হলেও অন্যবারের তুলনায় তা কম বলেই জানাচ্ছেন ঘরমুখো মানুষেরা। দুর্ভোগসঙ্গী করে নিজ নিজ গ্রামে ফিরেছেন শহরবাসী মানুষ। ঢাকা হারিয়েছে চিরচেনা রূপ। ফাঁকা ঢাকায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গুরুত্বপূর্ণ স্থান মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ৩০২টি স্থানে এবার ঈদের জামাত হবে। অন্যদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে ২২৮টি জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে পাঁচটি করে জামাত হবে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলররা এসব জামাতের ব্যবস্থাপনায় থাকবেন।
ঈদ জামাত ঘিরে জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঈদগাহ ময়দানে নেওয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া অন্য কিছু সঙ্গে না নিতে মুসল্লিদের পরামর্শ দিয়েছে ঢাকার মহানগর পুলিশ।
প্রধান ঈদ জামাত সাড়ে ৮টায়, জাতীয় মসজিদে প্রথম জামাত ৭টায়
তথ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে দেশের প্রধান ঈদ জামায়াত সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। এই জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। বিকল্প ইমাম হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া’র শায়খুল হাদিস মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুযযামান।
এদিকে, ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে প্রথম জামাত সকাল ৭টা, দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টা, তৃতীয় জামাত সকাল ৯টা, চতুর্থ জামাত সকাল ১০টা এবং পঞ্চম ও শেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।
সারাবাংলা/এমও