Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিকল, সিঙ্গাপুরে নেওয়া যায়নি সুবীর নন্দীকে


৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০১:২৫ | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৩৫

ঢাকা: এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সিঙ্গাপুরে নেওয়া যায়নি দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দীকে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে বিমানবন্দরে নেওয়া হলেও পরে তাকে ফের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ড. সামন্ত লাল সেন সারাবাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনিই পরিবারের পক্ষ থেকে সুবীর নন্দীর চিকিৎসার সমন্বয় করছেন।

বিজ্ঞাপন

ড. সামন্ত লাল সেন সারাবাংলাকে বলেন, সুবীর নন্দীকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যেতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি রাত ৮টার দিকে বাংলাদেশে এসে পৌঁছে। ১০ টার মধ্যেই সুবীর নন্দীকে সিএমএইচ থেকে বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। সেসময় সুবীর নন্দীর সঙ্গে তার মেয়েও ছিলেন। কিন্তু জানানো হয় যে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ফলে তাকে আবারও সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়।

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ত্রুটি ঠিক করা হলে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সুবীন নন্দীকে সিঙ্গাপুর পাঠানো হবে বলেও জানান ড. সামন্ত লাল সেন।

সুবীর নন্দীকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে। সামন্তললাল সেন জানান, সুবীর নন্দীর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত। কোনো উন্নতি হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে সুবীর নন্দীকে। সরকারই চিকিৎসার সব খরচ বহন করবে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে সুবীর নন্দীকে

গত ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকা ফেরার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হন সুবীর নন্দী। সেসময় তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএএইচ) ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরে পুনরায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। ৩-৪ মিনিটের চেষ্টার পরে হৃদযন্ত্র সচল হলে নন্দিত এই সংগীত শিল্পীকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এরপর থেকে সুবীর নন্দী সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

১৯৭৬ সালে ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্র দিয়ে প্লেব্যাক ক্যারিয়ার শুরু সুবীর নন্দীর। পরে সহস্রাধিক চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। ১৯৮১ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’। এরপর একে একে প্রকাশিত হতে থাকে ‘প্রেম বলে কিছু নেই’, ‘ভালোবাসা কখনো মরে না’, ‘সুরের ভুবনে’, ‘গানের সুরে আমায় পাবে’, ‘প্রণামাঞ্জলী’ শিরোনামে তার একক অ্যালবাম। প্রতিটি অ্যালবামই শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। তবে সুবীর নন্দীর প্রথম গান রেডিওতে, সিলেট বেতারে ১৯৬৭ সালে। ঢাকা বেতারে তার প্রথম গান ১৯৭০ সালে—‘যদি কেউ ধূপ জ্বেলে দেয়’।

সুবীর নন্দী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন চার বার। বাচসাস পুরস্কারও পেয়েছেন চার বার। গানে অবদান রাখায় এ বছর তাকে ভূষিত করা হয়েছে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে।

হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার নন্দীপাড়ায় সুবীর নন্দীর জন্ম ১৯৫৩ সালের ১৯ নভেম্বর। বাবা চাকরি করতেন চা বাগানে। ছোটবেলা কেটেছে সেখানেই। ছোটবেলাতেই মা পুতুল রানীর কাছে গানে হাতেখড়ি। পরে শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নিয়েছেন ওস্তাদ বাবর আলী খানের কাছে।

সারাবাংলা/জেএ/জেজে/এসএমএন

এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ডা. সামন্ত লাল সেন সিএমএইচ সুবীর নন্দী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর