রমজানে দ্রব্যমূল্য ১ টাকাও বাড়বে না: সাঈদ খোকন
২৮ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:১৬ | আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ১৮:২৪
ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, এবার রমজানে নিত্যপণ্যের দাম ১ টাকাও বাড়বে না। বরং বর্তমান দামের চেয়ে অন্তত ১ টাকা হলেও কমবে। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ডিএসসিসির মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রমজানের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চিনি, মসুর ডাল, ছোলা, তেল ও আটা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন সাঈদ খোকন।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মেয়র বলেন, এবার আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্য মজুদ রয়েছে। যা দিয়ে আসছে রমজানের পর পূজাতেও সরবরাহ করতে পারব। সুতরাং আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য- বিশেষ করে ছোলা, চিনি, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও আটাসহ অতি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের মূল্য কোনোভাবেই গত বছরের চেয়ে এ বছর বাড়বে না।
মেয়র বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর আমরা কিছুটা হলেও কম দামে আমরা নাগরিকদের হাতে পণ্য পৌঁছে দেবো। ব্যবসায়ীরা আমাদের জানিয়েছেন, এবার রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ১ টাকাও বাড়বে না। বরং বর্তমানে যে দাম আছে তার চেয়ে অন্তত ১ টাকা হলেও কমবে।
তিনি পাইকারি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও যেন দ্রব্যমূল্য খুচরা ব্যবসায়ীদের ওপর প্রভাব না ফেলে সেটা অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে।
খুচরা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, ডিএসসিসির আওতাধীন এবং জনবহুল এলাকার কাঁচা বাজারগুলোতে দ্রব্যের মূল্য যেন লাগামহীন না হয় সেজন্য মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হবে। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। কোনো অসাধু ব্যবসায়ী যেন পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়াতে না পারে সেজন্য ডিএসসিসি ‘শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি’ অবলম্বন করবে। সেই সঙ্গে পহেলা রমজান থেকে বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেন, বাজারে বিভিন্ন প্রকারের ছোলা বিক্রি হয়। যেগুলো দেখতে একেবারেই পরিষ্কার সেগুলো ৯০-৯৫ টাকা দরে বিক্রি হয়। ক্রেতার সংখ্যা ৫-৭ শতাংশ। কিন্তু যেসব ছোলা নরমাল বা দেখতে একটু কালচে সেগুলো পাইকারি ও খুচরা ৫৫-৬২ টাকা দরে বিক্রি হয়। একইভাবে তেল ও মসুর ডালের ক্ষেত্রেও তা বিদ্যমান। তাই বাজারে দ্রব্যমূল্য বাড়ার বিষয়টি বলার আগে অবশ্যই আপনাদের (ক্রেতাসাধারণ) দেখতে হবে যে কোন দ্রব্যটির দাম কত। এজন্য আপনারা মূল্য তালিকা সংগ্রহ করতে পারেন।
তিনি একটি মূল্য তালিকার পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, রমজানে ছোলার পাইকারি মূল্য থাকবে ৭০-৭৬ টাকা এবং খুচরা মূল্য ৭৪-৮০ টাকা। চিনির পাইকারি মূল্য ৪৯ টাকা থেকে ৪৯ টাকা ৬০ পয়সা এবং খুচরা মূল্য ৫২ টাকা। মসুর ডাল পাইকারি মূল্য ৮৫-৮৮ টাকা এবং খুচরা মূল্য ৮৯-৯২ টাকা। সয়াবিন তেল (খোলা) প্রতি লিটার পাইকারি মূল্য ৭৩-৭৮ টাকা এবং খুচরা মূল্য ৭৭-৭৮ টাকা। আটা (খোলা) পাইকারি ২২-২৩ টাকা এবং খুচরা ২৩-২৪ টাকা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আবুল হাসেম ও বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্য তেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলাসহ রাজধানীর অনান্য ব্যবসায়ীরা।
সারাবাংলা/এসএইচ/জেডএফ