Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আগুনে পুড়ে মৃত্যু নুসরাতের, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর


২৭ এপ্রিল ২০১৯ ২০:১৬ | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ২০:২৩

ঢাকা: ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি আগুনে পুড়েই মারা গেছে। তার মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। নুসরাতের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনটি শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) তা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও শাহবাগ থানা পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- নুসরাত হত্যায় মাঠ পর্যায়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছে তদন্ত কমিটি

নুসরাতের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনটি শনিবার বিকেলে শাহবাগ থানার কনস্টেবল রমজান আলীর কাছে হস্তান্তর করেন ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ। এসময় তিনি জানান, আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে নুসরাতের। অন্য কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

শাহবাগ থানার কনস্টেবল রমজান আলী বলেন, নুসরাতের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনটি হাতে পেয়েছি। আমাদের কিছু প্রক্রিয়া আছে। সেই প্রক্রিয়া শেষে আগামীকাল (রোববার) মামলার তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন- বাঁচানো গেলো না নুসরাতকে

আলোচিত এ হত্যা মামলার তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলার তদন্ত তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম।

এর আগে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদকে প্রধান করে নুসরাতের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন— প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস ও প্রভাষক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস। গত ১১ এপ্রিল তারা নুসরাতের ময়নাতদন্ত শুরু করেন।

বিজ্ঞাপন

সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নুসরাতকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গত ২৭ মার্চ মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় রাফির মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। ওই সময় থেকেই অধ্যক্ষ কারাগারে রয়েছেন।

এ ঘটনার জের ধরে প্রথমে নুসরাত ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয় অধ্যক্ষের অনুসারীরা। তাতে রাজি না হলে গত ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাত মাদরাসায় পরীক্ষা দিতে গেলে তাকে কৌশলে মাদরাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায় তারা। সেখানে তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই দিনই সংকটজনক অবস্থায় নুসরাতকে ঢামেক বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল বলে জানান চিকিৎসকরা। পাঁচ দিন পর ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান নুসরাত।

নুসরাতের শরীরে আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই ৮ এপ্রিল মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এ পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। এদের মধ্যে আট আসামির নাম এজাহারে রয়েছে।

সারাবাংলা/এসএসআর/টিআর

নুসরাত নুসরাত জাহান রাফি নুসরাত হত্যা মামলা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর