Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শ্রীলংকা ফেরত ১১ শ্রমিকের ক্রিমিনাল রেকর্ড খতিয়ে দেখছে সিটিটিসি


২৭ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:৫৭ | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:০৫

ঢাকা: সিরিজ বোমা হামলার পর শ্রীলংকা থেকে ফেরত আসা ১১ জন শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম  (সিটিটিসি) ইউনিট। তাদের বিরুদ্ধে আগের কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে কি না, কিংবা শ্রীলংকায় তারা যে কারখানায় কাজ করতেন সেই কারখানার মালিকের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল কি না— এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো সিটিটিসি প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান সিসিটিসি প্রধান ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা ফেরত আসা শ্রমিকদের প্রত্যেকের আলাদা প্রোফাইল তৈরি করছি। তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে নাকি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটি বলার সময় এখনো আসেনি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ওই ১১ শ্রমিক মালিন্দা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শ্রীলংকা থেকে বাংলাদেশে আসেন। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের সবার বাড়ি টাঙ্গাইলে। তারা শ্রীলংকার একটি তামার কারখানায় তারা কাজ করতেন। ওই কারখানাটির মালিক যে ব্যক্তি, তিনি ও তার ভাই শ্রীলংকার সিরিজ হামলায় আত্মঘাতী হয়েছিলেন বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, তামার ওই কারখানাতেই সিরিজ হামলায় ব্যবহৃত বোমা তৈরি করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছে শ্রীলংকা পুলিশ।

১১ শ্রমিক প্রসঙ্গে সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, এরা সাধারণ শ্রমিক হলেও জিজ্ঞাসাবাদের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কারণ এদের সবাই ট্যুরিস্ট ভিসায় ওই তামার কারখানায় কাজ নেয়। অনেকের ভিসার মেয়াদ নেই। এদের ওয়ার্ক পারমিটও নেই।

তিনি বলেন, তারা অবৈধ শ্রমিক হিসেবে সেখানে ছিল। এখনো জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে নাকি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটি বলার সময় এখনো আসেনি। তাদের আগের কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সিটিটিসি প্রধান আরও বলেন, গতকাল শ্রমিকদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যা জানা গেছে, তারা সাধারণ শ্রমিক ছিলেন। তাদের ওপর ম্যানেজার ও সুপারভাইজার ছিল। তাই মালিকের সঙ্গে তেমন কোনো সম্পর্ক ছিল না। সাধারণ শ্রমিক হিসেবে পুরো সময়ে মাত্র দুইবার বা তিনবার মালিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। মালিকের সঙ্গে তাদের আসলেই কোনো সম্পর্ক ছিল কি ,না তা জানতেই শ্রমিকদের দেশে আনা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মনিরুল ইসলাম বলেন, ফেরত আসা ১১ জন শ্রমিক যে কারখানায় কাজ করত, সেটি জঙ্গি নেতা ইব্রাহীম ইনসাফ আহমেদের একটি তামার কারখানা ছিল। গ্লোব মেটাল নামে ওই কারখানার মালিক জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িত ছিল। সিনামন হোটেলে অ্যাটাক করতে গিয়ে তিনি মারা যান। এ ঘটনার পর ওই দেশের পুলিশ কারখানাটি বন্ধ করে দেয়। আর শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিজ নিজ দেশে হাইকমিশন অফিসের মাধ্যমে ফেরত পাঠিয়েছে। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে এসেছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি সংগঠন বড় কোনো ঘটনা ঘটাতে পারবে না। আমরা নজরদারি করছি। নিউজিল্যান্ডে হামলার পর জঙ্গি চ্যানেলগুলোতে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে। তবে একটি হামলার জন্য যতগুলো রসদ লাগে এবং প্রস্তুতি লাগে, তা তাদের নেই। জঙ্গি নেটওয়ার্ক আমরা ধ্বংস করেছি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমরাও ঝুঁকিতে আছি। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো হামলার তথ্য নেই।

আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, এ দেশে সমান অধিকার নিয়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করছেন। কারও ভয়ের কিছু নেই। সবাই সমানভাবে ধর্ম পালন করছে। আমরা সমতায় বিশ্বাস করি। আইন সবার জন্য সমান জেনেই আমরা সবাইকে নিরাপত্তা দিয়ে থাকি।

সারাবাংলা/ইউজে/জেডএফ

১১ শ্রমিক শ্রীলংকা ফেরত সিটিটিসি

বিজ্ঞাপন

৭ বছর পর মা-ছেলের সাক্ষাৎ
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩৮

আরো

সম্পর্কিত খবর