খালেদার গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ এপ্রিল
১৭ এপ্রিল ২০১৯ ১২:৪৯
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার চার্জ গঠনের জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) এই মামলায় শুনানি শেষে পুরান ঢাকার বকশিবাজারের বিশেষ জজ আদালত ৩-এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন চার্জ গঠন শুনানির নতুন এই তারিখ নির্ধারণ করেন।
এদিন, মামলার অন্যতম আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আদালতে আনা হয়নি। এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আদালতে আসামির উপস্থিতি ছাড়া চার্জ শুনানি করা আইন সম্মত নয়। তাই, চার্জ শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন তারা। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় কারা কর্তৃপক্ষ তাকে আদালতে হাজির করতে পারেননি। যেহেতু তিনি অসুস্থ আছেন। তাই এ মামলার চার্জ শুনানির জন্য নতুন আরেকটি তারিখ দিয়েছেন আদালত।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন ঠিক করেন।
এদিন, অন্যান্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দীন সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গত ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। ওইদিন খালেদা জিয়া আদালতে তাকে বসানোর স্থান নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন।
জরুরি বিধিমালা সংযুক্ত এ মামলার অভিযোগপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা বাতিল চেয়ে রিট করেছিলেন খালেদা জিয়া। রিটের কারণে প্রায় ৮ বছর নিম্ন আদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। রিট খারিজ করে উচ্চ আদালত ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে দুই মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ওই বছরের ৫ এপ্রিল আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা জিয়া।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার ১৩ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
২০০৮ সালের ১৩ মে মামলাটি তদন্ত করে জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ জন সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২৪ আসামির মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভুইয়া, সাবেক মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রাহমান কোকো, এমকে আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেম এর মৃত্যুর পর এই মামলায় বর্তমান আসামির সংখ্যা ১৭ জন।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (প্রয়াত) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক সদস্য একে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লি. (গ্যাটকো) এর পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন।
সারাবাংলা/এআই/জেএএম