Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নুসরাত হত্যা: ওসির বিরুদ্ধে মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ


১৫ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:৩৮ | আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৯ ২১:৪৫

ঢাকা: সোনাগাজী থানার প্রত্যাহার হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। সোনাগাজীর মাদরাসা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি থানায় অভিযোগ দিতে আসার পর তাকে আপত্তিকর প্রশ্ন করা ও ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ওসির বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসলাম জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। এছাড়া, আগামী ৩০ এপ্রিল ডিআইজি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিআইবি) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, এদিন দুপুরে ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে বাদি হয়ে মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে মামলার বাদি বলেন, ‘নুসরাত হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশ আলোচিত ঘটনার মধ্যে অন্যতম। নুসরাতকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। যৌন হয়রানির বিষয়ে নুসরাত অভিযোগ করলে আসামিসহ তাকে থানায় নেওয়া হয়। সেই সময় ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন তাকে জেরা করেন। ওই জেরার ভিডিও তিনি নিজের মুঠোফোনে ধারণ করেন। নুসরাতের মৃত্যুর পরের দিন গত ১১ এপ্রিল তিনি ভিডিওটি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেন।’

নুসরাত হত্যা: সোনাগাজীর ওসির বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ আইনে অভিযোগ

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এমন ঘটনা আর একটাও ঘটেনি। অথচ ওসি সাহেব নিজের রুমে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। থানার ভেতরে এমন ভিডিও ধারণ করা ও সম্প্রচার করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইননের অপরাধ। এই ঘটনার পরে ভিকটিম বেঁচে গেলেও, বেঁচে থাকাটা কঠিন হয়ে যেত। গত ১১ এপ্রিল ইউটিউবে এই ভিডিও দেখতে পাই। অশ্লীল কিছু তথ্য ধারণ করে ইউটিউব/সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ করেছে। এর ফলে ভিকটিমের মানহানিও হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

মামলার এজাহারে থেকে জানা যায়, গত ২৭ মার্চ নুসরাতকে থানায় নিয়ে যান ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। সেখানে তিনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে নুসরাতকে জেরা করতে থাকেন। ওই জেরার সময় ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে ফেসবুক ও ইউটিউবে তা ছড়িয়ে দেন। ওই সময় মোয়াজ্জেম হোসেন অত্যন্ত অপমানজনক এবং আপত্তিকর ভাষায় প্রশ্ন করেন নুসরাতকে। এক পর্যায়ে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন ওই ভিকটিমের শ্লীলতাহানিও করে। ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন যা করেছেন, তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।

ওই ঘটনায় ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৬, ২৯ ও ৩১ ধারা মামলাটি দায়ের করা হয়। একইসঙ্গে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন জানান।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ ঘটনায় রাফির মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। এর জেরে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় অধ্যক্ষের সহযোগীরা। চলতি মাসের ১০ তারিখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সারাবাংলা/এআই/এমও

ওসি মোয়াজ্জেম নুসরাত নুসরাত হত্যা পিবিআই

বিজ্ঞাপন

রিশাদ-জাহানদাদে কুপোকাত সিলেট
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২১

আরো

সম্পর্কিত খবর