আর কোনো মায়ের কোল যেন খালি না হয়!
৬ এপ্রিল ২০১৯ ০০:৫৬ | আপডেট: ৬ এপ্রিল ২০১৯ ০০:৫৯
রামপুরা-ডেমরা সড়কে রমজান ও স্বাধীন পরিবহনের দুই বাসের প্রতিযোগিতায় প্রাণ গেছে শিক্ষার্থী ইরাম ব্যাপারীর। সে গোলাম মোস্তফা মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়তো, বাণিজ্য বিভাগে। ইরামকে হারিয়ে তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। তারা তাদের ছেলের ‘হত্যা’র সর্বোচ্চ শাস্তি চাইছেন।
নিহত ইরামের চাচী মনোয়ারা বেগম সারাবাংলাকে জানান, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীতভাবে বলছি, আমাদের ছেলে হত্যার বিচার চাই। আর কোনো মায়ের কোল যেন খালি না হয়, তিনি যেন সে ব্যবস্থা করেন।
তিনি বলেন, আজ আমাদের ছেলে গেছে। কাল আরেকজনের ছেলের জীবন যাবে না এটার নিশ্চয়তা কি। আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি চাই দোষীদের।
তবে ছেলেকে হারিয়ে ইরামের বাবা হাজী দেলোয়ার হোসেনের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে বেদনা-অভিমান। ছেলের মৃত্যুর বিচার চান কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সারাবাংলার কাছে আক্ষেপ করেছেন ইরামের বাবা।
তিনি অভিমান মিশ্রিত স্বরে বলেন, বিচার চেয়ে কি হবে? কিছু হবে! আমি কোনো বিচার চাই না। ছেলে হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে উল্টো আমরাও হয়রানি হবো। আজ পর্যন্ত যত হত্যা হয়েছে কোনো ঘটনার বিচার হইছে? তাইলে কিসের বিচার চাইবো!
আমি কোনো বিচার চাইনা! একথা বলেই তিনি ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন।
আরও পড়ুন: একটু পানি খাওয়াও হলো না ইরামের
শুক্রবার দুপুরে ইরামের মৃত্যুর ঘটনায় তার কলেজের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ইরাম হত্যার বিচারের দাবিতে ওই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ রমজান পরিবহনটি (ঢাকা মেট্রো – ব – ১৫-৩৬৮৭) রামপুরা এলাকা থেকে জব্দ করে। এসময় চালক শামীম হোসেন ও হেলপার মুন্না মিয়াকেও আটক করা হয়।
সারাবাংলা/এসএইচ/এনএইচ