রাতে ব্যালটে সিল: সেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ওসি বরখাস্ত
২৯ মার্চ ২০১৯ ০২:১১ | আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৯ ০৪:৩৩
ঢাকা: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে উপজেলা নির্বাচনে আগের রাতে ব্যালটে সিল মারার ঘটনায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শফিকুল ইসলাম ও কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুউদ্দিনকে দুই মাসের জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুরোধে পৃথক দুই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। একইসঙ্গে অসদাচরণের জন্য তাদের বিরুদ্ধে চাকরিবিধি অনুযাযী শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা গ্রহণ করার জন্যও নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
ইসির যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান আরজু সারাবাংলাকে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইসি সূত্র জানায়, পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে গত ২৪ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদীতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী ২৪ মার্চ সকাল ৮টায় উপজেলার ৮৯টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এর মধ্যে অভিযোগ পাওয়া যায়, রাতেই অধিকাংশ কেন্দ্রে ব্যালটে সিল মেরে রাখা হয়েছিল। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুরুতে পাঁচটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। পরে ৮৯টি কেন্দ্র, অর্থাৎ পুরো উপজেলার নির্বাচনই স্থগিত করা হয়।
সূত্র জানায়, ভোটগ্রহণের আগের রাতেই, অর্থাৎ ২৩ মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে ২৪ মার্চ ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এসব কেন্দ্রে ব্যালটে সিল মারা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম ও কটিয়াদী থানার ওসি মোহাম্মদ শামসুদ্দীন এ বিষয়ে জানলেও সিল মারা ঠেকাতে কোনো ব্যবস্থা নেননি; বরং তারা সিল মারার কাজে সহায়তা করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ মার্চ সকালেই তাদের প্রত্যাহার করে ইসি। পরে তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাদের বরখাস্ত করা হয়।
সারাবাংলা/জিএস/টিআর