Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জাতিসংঘে স্থায়ী মিশনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত


২৭ মার্চ ২০১৯ ১৩:৪৩ | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৯ ১৩:৫৪

প্রতিবছরের মতো এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৯ উদযাপিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে স্থায়ী মিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়। এসময় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাণী পাঠ করা হয়। নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিকেল ৬টায় মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বিদেশি অতিথিদের জন্য দিবসটি উপলক্ষে অভর্থ্যনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব আজ বাংলাদেশকে বলছেন ‘অর্থনৈতিক বিস্ময়’। অথচ একসময় এই বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির দেশের তালিকায় ফেলা হয়েছিল।

রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, ‘আমরা আমাদের উন্নয়ন কাজের ৯০ ভাগ নিজস্ব তহবিল থেকে করছি। আমরা শুধু এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেই বসে নেই, আমরা পরিপূর্ণভাবে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। আমরা একশত বছরের পরিকল্পনা ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ প্রণয়ন করেছি।

বিজ্ঞাপন

আর্থসামাজিক খাতসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ অসামান্য অগ্রগতি সাধন করেছে উল্লেখ করেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ-পিয়েরে ল্যাক্রুয়া। উপস্থিত অন্য বিদেশি অতিথিরাও বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রা ও অসামান্য সাফল্যের প্রশংসা করেন। তারা বলেন, বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ নিতে পারে। উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উন্নয়নশীল বিশ্বে অনুকরণীয় হতে পারে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা

উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি মারিয়া ফার্নান্দে এস্পিনোসা গার্সেজ, ডিপার্টমেন্ট অব ফিল্ড সাপোর্টের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারে, স্বল্পোন্নত, ভূবেষ্টিত উন্নয়নশীল ও উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর উচ্চ প্রতিনিধি মিজ ফেকিটামোইলোয়া কাটোয়া উটইকামানু, বৈশ্বিক যোগাযোগ বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মিজ অ্যালিসন স্মেল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাপান, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, সৌদি আরব, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত, বেলজিয়াম, দক্ষিণ আফ্রিকা, কিউবা, আশিয়ান সদস্যভুক্ত দেশ এবং ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় শতাধিক দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি/উচ্চপর্যায়ের কূটনীতিক এবং জাতিসংঘ ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধিরা। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহিদ ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ওপর একটি ভিডিওচিত্র দেখানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা, সংস্কৃতিকর্মী, দেশি-বিদেশি সাংবাদিকসহ বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/টিআর

জাতিসংঘ স্থায়ী মিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন মাসুদ বিন মোমেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর