বেসিস সফটএক্সপোতে জাপান ডে
২০ মার্চ ২০১৯ ১৭:০২ | আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৯ ১৭:০৬
ঢাকা: বেসিস সফটএক্সপোর দ্বিতীয় দিনে পালিত হচ্ছে জাপান ডে। দিনটিতে জাপানে ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে করণীয় ও এক্সিপেরিয়েন্স শেয়ারিং সেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাত ৮ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে বিভিন্ন সভা সেমিনার।
বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চলমান ১৫তম বেসিস সফটএক্সপোর দ্বিতীয় দিনটি জাপান ডে হিসেবে পালিত হচ্ছে। দেশে তথ্য প্রযুক্তি খাতের তিন দিনের সবচেয়ে বড় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। সফট এক্সপোর পার্টনার হিসেবে রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
বুধবার (২০ মার্চ) সকালে বেসিসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, জাপানের বাজারে বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তির বাজার প্রসারে যৌথভাবে কাজ করছে সরকার এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসহ বেসিস। জাপানে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে বেসিস মেলার ২য় দিনকে জাপান ডে হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, জাপানে বাংলাদেশের বাজার বৃদ্ধিতে খোলা হবে বাংলাদেশ ডেস্ক। একই সঙ্গে বাংলাদেশেও জাপানের ডেস্ক থাকবে। জাপান বাংলাদেশ সম্পর্কের উত্তর উত্তর উন্নতি হচ্ছে যা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাপানের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক বহু পুরনো এবং বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে জাপানের সহযোগীতা বরাবরই ইতিবাচক। সরকার দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে এবং এর ফলাফলও ইতিবাচক।
জাপান সরকার যাতে এ দেশে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে পারে এবং তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার জাপানকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৪০০ হেক্টর জমি প্রদান করেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ছাড়াও অন্যান্য বাণিজ্য প্রসারে জাপান বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ৫ বছরে এ সম্পর্কের আরো উন্নতি হবে বলে আমি মনে করি। এ সম্পর্ক উন্নয়নে এ ধরনের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, প্রদর্শনীতে এবার প্রায় আড়াইশো দেশি-বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের জন্য পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। এক্সপো এলাকাটি দশটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। নতুন সংযোজন হিসেবে থাকছে ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ জোন এবং এক্সপেরিয়েন্স জোন, যা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরবে। রয়েছে উইমেন জোন, ভ্যাট জোন, ডিজিটাল এডুকেশন জোন, ফিনটেক জোন। আর বরাবরের মতোই রয়েছে সফটওয়্যার সেবা প্রদর্শনী জোন, উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা জোন, ডিজিটাল কমার্স জোন, আইটিইএস ও বিপিও জোন। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত এই প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/জেএএম