আদালতে যেতে অনিচ্ছুক খালেদা: জেল সুপার
১৩ মার্চ ২০১৯ ১২:৪৫ | আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯ ১৩:০০
।। স্টাফ রিপোর্টার ।।
ঢাকা: বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার শুনানিতে আজ ‘বিজ্ঞ আদালতে বন্দি যেতে অনিচ্ছুক’ বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার ইকবল কবীর।
বুধবার (১৩ মার্চ) পুরান ঢাকার বকশিবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে শুনানিতে খালেদা জিয়ার হাজির না হওয়ার কারণ হিসেবে লিখিতভাবে( কাস্টডি ওেয়ারেন্ট) তিনি এ বিষয়টি জানান।
পরে আদালতে শুনানির শুরুতেই রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, উচ্চ আদালতের সকল আদেশ চলে এসেছে। আজকে চার্জ শুনানির জন্য দিন ঠিক রয়েছে।
এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার আদালতকে বলেন, যে সকল কাগজপত্র পেয়েছি চার্জ শুনানির জন্য যথেষ্ট নয়। শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট কাগজ পত্র দরকার। এছাড়া সকল আসামি আদালতে উপস্থিত হননি। আসামির অনুপস্থিতিতে চার্জ শুনানির হয়না।
এর উত্তরে মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আদালতে কাগজপত্র সব তৈরি আছে আপনারা সংগ্রহ করে নেন।সব কাগজ পেলে পরবর্তী সময়ে চার্জশুনানি করতে হবে।এদিন সকল সোয়া এগারটায় আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়ে তো শেষ হয় সাড়ে বারটায়।
আদালতে বাহিরে এসে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এজন্য আদালত আগামী ৯ এপ্রিল পরবর্তী চার্জ শুনানির দিন ঠিক করেন।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার অস্থায়ী বিশেষ জজ-দুই এর বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামিকে আদালতে উপস্থিত করার জন্য আদেশে দেন। এদিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামির আদালতে হাজির করার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট দেওয়ার আবেদন করেন।
উল্লেখ্য, এ মামলায় অভিযুক্ত আসামির সংখ্যা ১৩ জন। কিন্তু জামায়াত নেতা নিজামী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১১ জন। এরা হলেন- খালেদা জিয়া, সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।
সারাবাংলা/এআই/জেডএফ