হুন্ডি নয় ওভার ইনভয়েসিংয়ের কারণে টাকা পাচার হয়েছে: দুদক
১১ মার্চ ২০১৯ ১৫:৩৫ | আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৯ ১৬:৫৪
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: হুন্ডির মাধ্যমে নয় ওভার ইনভয়েসিংয়ের কারণে দেশ থেকে টাকা পাচার হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের কৌশলপত্র ২০১৯ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলোচনাসভায় তিনি একথা বলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, লক্ষ কোটি টাকার পাচার হয়ে গেছে। হুন্ডির মাধ্যমে কখনো লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়নি। দুদক তদন্ত করে দেখেছে টাকা পাচার হয়েছে শুধুমাত্র ওভার ইনভয়েসিংয়ের কারণে। আর এনবিআর গত ১ মাসে কতোগুলো ফাইল করেছে। সেই রিপোর্ট আমরা এখনো পাইনি। আমি সরকারকে বলতে চাই, এনবিআরকে বলতে চাই,অর্থমন্ত্রণালয়কে বলতে চাই আপনারা যাদের বিরুদ্ধে ফাইল করেছেন তারাই আমার কাছে মূলত পাচারকারী। আজ এনবিআরকে একটি চিঠি পাঠানো হবে এর পরও যদি আমরা তালিকা না পাই তাহলে আইনানুগভাবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাইন্ড সেট চেঞ্জ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, মাইন্ড সেট চেঞ্জ না হলে দুর্নীতি দমন বা বন্ধ করা সম্ভব নয়। আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে সরকার, রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন মিলে যদি এক নৌকায় না উঠি তাহলে এই সমুদ্র পাড়ি দেওয়া অসম্ভব। টিআইবি শুধু সমালোচনা করে। কিন্তু নির্দিষ্ট করে বলতে পারে না। তারা যেভাবে বলে সেটা সবাই পারে। আমরা নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর অভিযোগ চাই। সমালোচনা করবেন কিন্তু নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর করবেন না সেটা হবে না।
জাহালমের বিষয় তুলে ধরে ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমরা যখন জাহালমের বিষয়টি জানতে পারলাম সঙ্গে সঙ্গে ৪টি মামলায় জামিন করিয়েছি। আমরা তো ছাড়তে পারি না। কারণ ছাড়ার মালিক তো আদালত। আর বাকি ২২টি মামলার কার্যক্রম চলছিলো। অন্যদিকে, জাহালমের বিষয়টি আসলে কি সেটি জানার জন্য আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটি আরও ১০ দিন বেশি সময় চেয়েছে। আশা করছি, ২০-২২ তারিখে আমরা তদন্ত রিপোর্ট পেয়ে যাব। তবে, এটা সত্য জাহালমের কেস নিয়ে পাবলিকলি আমাদের ট্রাস্টের পরিমাণ কমে গেছে। এমনকি গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে এমন কোনো কেস হয়নি। এটা আসলে দুঃখজনক। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি দেখছি।
মতবিনিময় সভায় সারাবাংলাডট.নেট ও গাজী টিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াজ রেজা, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু,ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল, যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, দীপ্ত টিভির এমডি জাহিদুল হাসান, বিটিভির মহাপরিচালক হারুনর রশীদ, আরটিভির সিইও সৈয়দ আশিকসহ প্রমুখ।
সারাবাংলা/এসজে/জেএএম