ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক রমিজ উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক
৭ মার্চ ২০১৯ ১২:২১ | আপডেট: ৭ মার্চ ২০১৯ ১২:৫৯
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: ঢাকা পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মো. রমিজ উদ্দিন সরকার ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুদকের নির্ভরশীল সূত্র সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গত সোমবার দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন স্বাক্ষরিত নোটিশে তাকে ও তার স্ত্রীকে ৭ মার্চ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়। সকাল ১০টা থেকে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন দুদকের এই কর্মকর্তা।
এর আগে, গত ২০ জানুয়ারি রমিজ উদ্দিনকে তার সম্পদের বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেন দুদকের উপ-পরিচালক ঋত্ত্বিক সাহা।
২০১৮ সালে রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ আসে। এরপর অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-সহকারী পরিচালক শহিদুর রহমানের নেতৃত্বে দুদক প্রাথমিকভাবে রমিজের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধানে দুদক জানতে পারে রমিজ উদ্দিনের নামে রাজধানীর উত্তরা ৫ নং সেক্টরের ২ নং রোডে সাততলা, মিরপুরের পূর্ব মনিপুর ১৩০৭/ডি ছয়তলা, মিরপুরের ২৮ মল্লিকা মিল্কভিটা রোডে চারতলা ফ্ল্যাট, রামপুরা মহানগর হাউজিংয়ে ৮নং রোডের ২০২ ব্লক-ডি তে ৪.৫ কাঠা জমির উপর ৫টি দোকান ও টিনশেড বাড়ি, পূর্ব রামপুরা ১৭৭/৫/১ এলাকায় ৯.৪৮ শতাংশ জমির ওপর বাড়ির তথ্য পাওয়া গেছে।
এছাড়া, টঙ্গী ও গাজীপুরে নামে-বেনামে ৩০ একর জমি রয়েছে। কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতেও রয়েছে একরে একরে জমি। কুমিল্লার মুরাদনগরে স্ত্রী সালমা পারভীনের নামে রয়েছে ৫০ বিঘা জমি। এর বাইরে পুঁজিবাজারে এ দম্পতির নামে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ রয়েছে। দুদকের দুই সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম রমিজ উদ্দিনের সম্পদের ব্যাপারে অনুসন্ধান করে এসব সম্পত্তির যৌক্তিক কোনো উৎস পায়নি। অপরদিকে রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গাজীপুরে জমি বিক্রি করে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থপাচার এবং পরে বাংলাদেশে ফেরত আনার অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছে দুদক।
সারাবাংলা/এসজে/জেএএম