তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই জিএমও প্রযুক্তির সমালোচনা : কৃষিমন্ত্রী
৬ মার্চ ২০১৯ ১৭:৫০ | আপডেট: ৬ মার্চ ২০১৯ ১৭:৫৯
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: কোন তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান জিএমও (জেনেটিক্যালি মডিফাইড অর্গানিজম) প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত বিটি বেগুনসহ ফসলের অন্যান্য জাত নিয়ে সমালোচনা করছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে উদ্ভাবিত বিটি বেগুন কৃষক ও ভোক্তা সবাই গ্রহণ করেছে। এ জাতীয় বেগুনের উৎপাদন ভালো এবং বেশ লাভজনক। কিন্তু কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত নতুন নতুন জাত নিয়ে বিরোধিতা করছে। তারা কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই কথা বলছে।’
বুধবার (৩ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইএফপিআরআই) আয়োজিত ‘এগ্রিকালচার ট্রান্সফরমেশন ইন বাংলাদেশ: এভিডেন্স অন বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রেশন সেনসেটিভ এগ্রিকালচার’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
জৈব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকার জিএমওসহ অন্যান্য প্রযুক্তি ও হাইব্রিড জাত নিয়ে এসেছে মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘জিএমও প্রযুক্তির ফসলে ক্ষতিকর কিছু নেই। আমাদের কৃষকরা এসব উন্নত জাতের স্বত্ব হারাবে বলে যে কথা বলা হচ্ছে তাও ঠিক নয়। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা বিবেচনায় ও ভবিষৎ খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় নতুন নতুন উন্নত জাত উদ্ভাবন করতে হবে। নতুন জাত যেন পরিবেশ ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর না হয় সেই দিকে সবোর্চ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আমরা আরও ভালো ভালো টেকনোলজি সম্পৃক্ত করবে। সমালোচনা থাকবে এরই মধ্যে কাজ করে যেতে হবে।’
রাজ্জাক বলেন, আমাদের কৃষি উৎপাদন বাড়লেও কৃষক তার উৎপাদনের নায্যমূল্য পাচ্ছে না। এর ফলে কৃষক অর্থিক সক্ষমতা অর্জনে ব্যর্থ হয়ে কৃষিকাজে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। পুষ্টিকর খাদ্য বাজারে কৃষি পণ্যের বাজারজাত অপরিহার্য। মাথাপিছু আয় বাড়াতে কৃষি বিপ্লবের বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্যে ভেজাল রোধে আমাদের আরও কঠোর হওয়া উচিত ছিল। তবে খাদ্য ভেজাল রোধে আর কোন ছাড় দেয়া হবে না। ভেজাল রোধে ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটি ল্যাব ও বিভাগীয় শহরের একটি করে ল্যাব স্থাপন করা হবে, যাতে করে দ্রুততার সঙ্গে ভেজাল শনাক্ত করা যায়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আব্দুর রৌফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আযাদ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহপরিচালক মীর নরুল আলম প্রমুখ।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এইচএ/জেএএম/এনএইচ
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জেনেটিক্যালি মডিফাইড অর্গানিজম