খালেদার সঙ্গে দেখা করতে উদগ্রীব স্বজনরা, মিলছে না অনুমতি
৫ মার্চ ২০১৯ ২০:৫১
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: কারাবান্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার জন্য উদ্গ্রীব তার স্বজনরা। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি পাচ্ছেন না তারা। ফলে গত দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তার কোনো স্বজন।
এর আগে, সর্বশেষ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান তার স্বজনরা। ওই দিন পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দীন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন তার বড় বোন সেলিনা ইসলাম, ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ভাগ্নে অভিক ইস্কান্দার, মো. হাসান ও একটি শিশু।
সেদিন বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে তারা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং ৫টা ৫৫ মিনিটে বের হয়ে আসেন। এর আগে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি সেলিনা ইসলাম ও ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারে গিয়ে দেখা করেন।
কিন্তু গত ১৮ ফেব্রুয়ারির পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার স্বজনরা আর দেখা করার সুযোগ পাননি। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেসউইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান সারবাংলাকে জানান, ২৪ ফেব্রুয়ারি পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার বড় বোন সেলিনা ইসলাম কারা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন। এক সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরও চিঠির কোনো উত্তর না পেয়ে ৩ মার্চ ফের কারা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন সেলিনা ইসলাম। গত দুই দিনেও সে চিঠির কোনো জবাব পাননি তারা।
এদিকে, খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর বা ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়ার অনুরোধ নিয়ে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে দেখা করে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রয়োজনে তাকে আবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে পাঠানো হবে। সেখানেই চিকিৎসা হবে তার।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ ছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। ওই দিনই থেকেই পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ৭ এপ্রিল মেডিকেল চেকআপের জন্য প্রথম দফায় বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয় তাকে। এর পর ৭ অক্টোবর বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। একমাস সেখানে চিকিৎসা দেওয়ার পর গত বছর ৮ নভেম্বর কারাগারে ফেরত নেওয়া হয়। এদিকে, আপিলে ওই মামলার সাজা বেড়ে ১০ বছর হয়েছে। এরই মধ্যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারিক আদালত।
সারাবাংলা/এজেড/টিআর