Saturday 11 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এমএনপি’র গ্রাহক ১ লাখ ৩৩ হাজার, বেশি হারিয়েছে গ্রামীণফোন


১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৫:৩১ | আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৫:৪১

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: মোবাইল নম্বর পোর্টেবেলিটি বা এমএনপি সেবা চালুর মাত্র চার মাসে নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর পরিবর্তন করেছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬২১ জন গ্রাহক। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অপারেটর পরিবর্তন করেছেন গ্রামীণফোন গ্রাহকেরা। আর অপারেটর পরিবর্তনের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলালিংক।

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন (বিটিআরসি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিটিআরসির ওই প্রতিবেদন বলা হয়, এমএনপি চালু হওয়ার পর গ্রামীণফোনের ৬২ হাজার ৩১৭ জন গ্রাহক অন্য অপারেটরে চলে গেছেন। আবেদনের পর বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৮৫৭ জন। আর অন্য অপারেটর থেকে গ্রামীণফোনে এসেছেন ১২ হাজার ৩৪৬ জন।

রবি থেকে অন্য অপারেটরে গেছেন ২৩ হাজার ৯১১ জন। অপারেটর পরিবর্তনে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন ১৪ হাজার। আর অন্য অপারেটর থেকে রবিতে এসেছেন ৯৩ হাজার গ্রাহক। অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি গ্রাহক এসেছেন রবিতে।

বাংলালিংক পরিবর্তন করে অন্য অপারেটরে গিয়েছেন ৪৫ হাজার গ্রাহক। অপারেটর পরিবর্তনে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার গ্রাহক। আর অপারেটর পরিবর্তন করে বাংলালিংকে এসেছেন ২৫ হাজার গ্রাহক। টেলিটক ছেড়েছেন ২ হাজার ৩০১ জন গ্রাহক। আর টেলিটকে এসেছেন ২ হাজার ২ জন গ্রাহক।

গত ১ অক্টোবর দেশে প্রথমবারের মতো এমএনপি সেবা চালু হয়। এর ফলে আগের নম্বর ঠিক রেখে এক অপারেটরের গ্রাহক অন্য অপারেটরে যেতে পারছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ সেবা চালু আছে। আর সম্প্রতি অপারেটর বদলে খরচ কমিয়ে ৫৮ টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। পূর্বে এ খরচ ছিল ১৫৮ টাকা। ১৩ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে গ্রামীণফোন ছেড়েছেন ১২ হাজার ৬৫৯ গ্রাহক। রবি ছেড়েছেন ৩ হাজার ৫০৫ জন, বাংলালিংক ১০ হাজার ৮৩৬ জন ও টেলিটক ছেড়েছেন ৪৪৮ জন। জানুয়ারিতে ২৭ হাজার ৪৪৮ জন গ্রাহক এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে স্থানান্তরিত হয়েছেন।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর